স্টাফ রিপোর্টার :
মহানগরীর ছয়টি থানা এলাকায় বসবাসকারী ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। এসব তথ্য নিয়ে করা হচ্ছে ডাটাবেজ। মূলত নগরীতে কোথাও জঙ্গি সংগঠনের কোন সদস্য কিংবা কোন অপরাধী আবাস গাড়ছে কিনা, এ বিষয়ে দৃষ্টি রেখেই ১৯ বিষয়ে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এসব ওয়ার্ড সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) আওতাধীন। এসএমপি সিলেট মহানগরীকে ছয়টি থানায় ভাগ করে কাজ করছে।
এসএমপি সূত্র জানায়, মহানগরীর কোন বাসায় নতুন কোন ভাড়াটিয়া ওঠছে, কারা বাসা ছেড়ে যাচ্ছে, এসব বিষয়ে তথ্য থাকলে সন্দেহভাজনদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া সহজ হবে। এছাড়া পরিচয় লুকিয়ে কোন ভাড়াটিয়া বাসায় ওঠছে কিনা, তাও যাচাই করা যাবে। কেননা ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ কাজে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও ফটোকপি নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে সেই পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। ফলে কেউ পরিচয় লুকিয়ে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র দিলে ধরা পড়বে।
জানা গেছে, নগরীতে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কাজ সম্প্রতি বেশ জোরেসোরে শুরু করেছে পুলিশ। তথ্য সংগ্রহের কাজ প্রত্যেক থানায় একজন এসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যকে নিয়োজিত করা হয়েছে। কাজে লাগানো হচ্ছে বিট পুলিশিংয়ের সদস্যদের। তারা নগরীর সকল পাড়া-মহল্লায় গিয়ে বাসার মালিকের কাছে পুলিশের ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের ফরম দিয়ে আসছেন। প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের ফরমে দেখা গেছে, সেখানে ১৯টি বিষয়ে তথ্য চাইছে পুলিশ। তন্মধ্যে নাম, পরিচয়, স্থায়ী ঠিকানা, কর্মস্থল, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, ফোন নম্বর, কতোদিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে আছেন, বাসার গৃহকর্মীর নাম-পরিচয় প্রভৃতি তথ্য চাওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, ‘ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের কাজ পুরোদমে চলছে। নগরীর ছয়টি থানায় ভাড়াটিয়াদের তথ্য কম্পিউটারে একটি বিশেষ সফটওয়্যারে জমা রেখে ডাটাবেজ করা হচ্ছে। সাথে হার্ডকপিও রাখছি আমরা। জঙ্গিরা যাতে নগরীতে আবাস গড়তে না পারে এবং অপরাধ দমনের বিষয়টি সামনে রেখেই এ কাজ করা হচ্ছে।