বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় নারী ও বাংলাদেশী নাগরিক নিজ নিজ দেশে হস্তান্তর

9
বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক (উপরে) প্রেমিকাকে হস্তান্তর করা হয় (বামে) আটক প্রেমিক (ডানে)।

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখলা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের মাধ্যমে প্রেমের টানে চলে আসা ভারতীয় নারী ও ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী নাগরিক সহ গরু হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা হতে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখালা সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে শান্তিপূর্ণ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৯বিজিবি’র জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুল কাদির, জৈন্তাপুর মডেল থানার এস.আই আতিকুর রহমান রাশেল, এ.এস.আই যমুনা সহ বিজিবি’র প্রায় ৪০জন বিজিবি ও পুলিশ সদস্য। অপরদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতীয় বিএসএফ’র হেওয়াই ক্যাম্প কমান্ডার আই.এস.পি সুরেন্দ্র রায়, এস.আই পংকজ কুমার, এইচ.সি মহর সিং, ভারতীয় পুলিশের এস.আই আর-এ-পারিয়াং সহ বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের প্রায় অর্ধ শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিল।
উভয় দেশের আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতির মাধ্যমে প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে আসা ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে নিজ নিজ দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি কৃষকদের গরু গুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ- প্রেমের টানে ভারতীয় ৫ সন্তানের জননী বাংলাদেশে চলে আসাকে কেন্দ্র করে ১বাংলাদেশী নাগরিকসহ প্রায় শতাধিক গরু ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় খাসিয়ারা। অবশেষে কয়েক দফা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রায় ৩ ঘন্টার বৈঠকের পর লিখিত ভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির প্রতিবেদককে বলেন, আমরা কয়েক দফা শান্তিপূর্ণ ভাবে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে চলে আসা নারীকে পুলিশের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা হতে উদ্ধার করে নিয়ে আসি, বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ভারতীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করি। খাসিয়া কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী নাগরিক সহ গরু গুলো তাদের নিকট হতে আমরা বুঝে নেই। বর্তমানে জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখলা এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।