সন্দ্বীপ কুমার ঘোষ :
এখনও নীরবে দাঁড়িয়ে আছে হাসনাহেনা
এখনও তার শাঁখায় ফোঁটে কতো শত ফুল!
আজও তার মোহনীয় ঘ্রাণ ছোটে
হৃদয় গহীনে ঝড় বয়ে হয় আকুল।।
মনে করিয়ে দেয় সেদিনের স্মৃতি!
কিশোর বেলার সেই প্রথম ভালোবাসা
কোন এক কচিযৌবনা কিশোরীর
নিগুঢ় প্রেমের কলাতে ফাঁসা।।
দু’হাতে তার শোভা পায় কতক
হাসনাহেনা ফুলের কলি গুচ্ছ
তার রূপমাধুরীর আকর্ষণ বাণে
হৃদয় গহীনে প্রেম করে স্পর্শ ।।
নয়ন বলে আয় সখা আয়!
যখন হলো গো প্রনয়ে দেখা
প্রেমাঞ্জলী দেয় চপল চরণে
লিখি প্রেমের চিরকুট স্বর্ণলেখা।।
আয় রে আয় প্রাণের সখা!
তোর প্রেমে হয়েছি ব্যাকুল
যৌবন নদী উপচে পড়ে জোয়ারে!
ভাঙ্গে বাসরীয় প্রেমের দুই কুল।।
সেই না টানে হাসনাহেনার ঘ্রাণে
দিয়েছিলাম সেদিন বাহু দুটি বাড়িয়ে
কণ্যা কুমারী তোমার প্রেমে আকুল
জাত কূল সব আমার মাড়িয়ে।।
যখন হেরি দু’টি নয়ন ভরি মধুরযৌবন বেলা
বাসা বেধেছিলে মোর হৃদয় অঙ্গনে!
ফুল ফোঁটার সে সুরভী ভরা রঙ্গনে
সেদিনের স্মৃতি আজও হৃদয়ে করে খেলা।।
এখন আমার সব স্মৃতি হারিয়ে শ্লেষে
শূণ্য হাতে বসে বুক ভরা ক্লেশে!
হৃদয়ের গহীনে কাঁন্না ঝরা রুধিরে
নিরালায় ভাসায় ছিন্ন প্রেমের ভেলা।।
হঠাৎ দেখি বৃষ্টি ঝরা কোন রাতে
হাসনাহেনা দাঁড়িয়ে আছে নীরবে গৌরবে
হৃদয়ে ঘটেছে নিদারুণ মূর্চ্ছনায় বজ্রপাত!
প্রেমের পল্লবে ঘটিল সহসা পক্ষাঘাত।।
নয়ন যুগলে মোর ঘুম আসে না সখী
হয়তো তুমি ঘুমিয়ে আছো সুখ সৌরভে!
কখন আঁধার টুটে হবে সোনালি প্রভাত
মুছিবে স্মৃতিপটে ব্যাথা লোহিত গৌরবে।।