মৌলভীবাজারে লাম্পি স্কিন রোগ নিয়ে আতঙ্ক

6

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে একটু বেশি লাভের আশায় পশুর বাড়তি যতœ আর লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যিক ও পারিবারিক খামারিরা। মৌলভীবাজারে এ বছর কুরবানির জন্য ৬২ হাজার ৫২টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৪৩ হাজার ৬১৮, মহিষ ২ হাজার ৪২২ ও ১৫ হাজার ৯২২টি ছাগল-ভেড়া বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তবে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে পশুর কাক্সিক্ষত দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন খামারিরা। এছাড়া কুরবানির আগে বিভিন্ন জায়গায় গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) বা চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরে আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
খামারিরা জানান, প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ ঘাস খাইয়ে বাড়ির গোয়ালে অথবা খামারে পশু মোটাতাজা করছেন তারা। বাজারের গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়াই খরচ অনেক বেড়ে গেছে। হাটে পশুর বাজার ভালো না হলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
আবার জেলার কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ও কর্মধা ইউনিয়নে গরু লাম্পি স্কিনে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ওই এলাকার দেওগাঁও গ্রামের কয়েছ আহমদ জানান, তিনি কুরবানির ঈদের জন্য গরু পালন করছেন। এখন গরুর গায়ে চর্মরোগ দেখা দেওয়ায় বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শাহিন মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে তার গরুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দেয়। সারা গায়ে প্রচুর দাগ হয়েছে। নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হলেও রোগ সারেনি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুস ছামাদ জানান, জেলায় কুরবানির চাহিদার তুলনায় বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। কৃষকরা যাতে করে ভালো দাম পায়-সে বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।