কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে মাধ্যমিক স্তরে ৩১ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব নেই। ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি ল্যাব থাকলেও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ নেই। কোনোটিই নেই ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে। বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০১৮-২০১৯’ এর মাঠ পর্যায়ের জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে। রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর এলজিইডি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এডুকেশন ওয়াচের মুখ্য গবেষক শমীর রঞ্জন নাথ। বাংলাদেশের এসডিজি-৪ বিষয়ক স্পটলাইট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের (ক্যাম্পে) উপপরিচালক কে এম এনামুল হক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুবিধার দিক থেকে সরকারি বিদ্যালয় এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলো অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (মাদ্রাসা, কারিগরি) তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। আর দাখিল মাদ্রাসাগুলোর অবস্থান সবার নিচে।
প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ শিক্ষক ২০১৮ সালে কমপক্ষে একবার মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা জানিয়েছেন। মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের এ হার শিক্ষকদের মধ্যে পুরুষ ৩৯ ও নারী ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ। শহর ও গ্রামের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে পুরুষ ৫০ দশমিক ৯ ও নারী ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ।
দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, প্রশিক্ষণের অভাব, শ্রেণিকক্ষের অপ্রতুলতা, পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাব, দক্ষতার অভাব, ক্রটিযুক্ত সরঞ্জাম, প্রস্তুতিমূলক সময়ের অভাব এবং অকার্যকর উপকরণ।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবহার না করার পেছনে শিক্ষকরা তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো- নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি না থাকা, এ সম্পর্কে কোনও প্রশিক্ষণ না থাকা এবং ক্রটিযুক্ত সরঞ্জাম।