ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরের শেখ ফলিজাতুন নেছা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলামকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় একই প্রতিষ্টানের ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আহমদ আলী হেলালী (৪৮) কে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে ওসমানীনগর থানার এসআই মুমিনুল ইসলাম পিপিএম এর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত বিশ্বনাথ উপজেলার সানচির কাপন গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর পুত্র ও শেখ ফলিজাতুননেচ্ছা মাদরাসার সহকারী প্রিন্সিপাল হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আল মামুন বলেন, অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী প্রভাষক লুৎফুর রহমানের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে মাওলানা আহমদ আলী হেলালীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
মামলা সূত্র জানা যায়, চলতি বছরের ১৪ ফেব্র“য়ারী সকালে অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলাম মোটর সাইকেল যোগে মাদরাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বুরুঙ্গা সড়কের মুখ এলাকায় পৌঁছলে একটি দ্রুতগতির প্রাইভেট কার অধ্যক্ষকে পেছন থেকে চাপা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে একই মাদরাসার প্রভাষক লুৎফুর রহমান পরিকল্পিতভাবে গাড়ি চাপা দিয়ে অধ্যক্ষকে হত্যা করে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় নিহত অধ্যক্ষের স্ত্রী দিলবাহার তালুকদার লিপি বাদি হয়ে একই মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক লুৎফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ১৮ ফেব্র“য়ারী ওসমানীনগর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলাটি দায়ের করেন, মামলা নং-১৩। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৫-৬জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত লুৎফুর রহমান পলাতক ছিলেন। ২৪ ফেব্র“য়ারী রাতে সিলেটের গোটাটিকর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের থানা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ও পরবর্তীতে থানা পুলিশ কর্তৃক সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুলেখা দের আদালতে লুৎফুর রহমানকে হাজির করা হলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় তিনি স্বেচ্চায় নিজ আপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।