নবাব রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু ॥ লাখাইয়ে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী নিহত ও দিরাইয়ে আহত ৩

30

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর নবাব রোড এলাকায় দ্রুতগতির হাইয়েসের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ফুটপাতে উড়ে গিয়ে নিহত হন ওই আরোহী।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মর্মান্তিকভাবে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত হৃদয় আহমদ (২৭) বাগবাড়ির শহিদ মিয়ার পুত্র। তাদের পরিবার বাগবাড়ি নরসিংটিলায় শিশু মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন। সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রকিব বাবলু দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগতির হাইয়েস (ঢাকা মেট্রো-চ-২০-৬২০৩) গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের (সিলেট মেট্রো ল-১১-০১৯২) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বিকট শব্দে ঘটা সংঘর্ষে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে যান হৃদয়। উড়ে গিয়ে তিনি পড়েন পার্শ্বস্থ ফুটপাতে। মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হৃদয়ের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে হাসপাতালের পরিবেশ। দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত তথ্য জানেন না বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
এদিকে, বিক্ষুব্ধ জনতা নবাবরোড অবরোধ করেন। তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে হাইয়েস গাড়িটি জব্দ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। তবে দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এদিকে, অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী শিখা রাণী দাশ (৪০) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোরে সিলেট থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এর আগে শনিবার ১৪ জানুয়ারি তিনি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।
শিখার সহকর্মীরা জানান, শিখা শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শহর থেকে অটোরিকশায় করে বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামে তার বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। পাতারিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে শিখা গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার ভোরে সিলেট থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
হবিগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, শিখার স্বামীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে। সাড়ে ৩ বছর আগে তার স্বামী স্কুল শিক্ষক অমল চন্দ্র দাশ মারা গেছেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
অপরদিকে, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী ৩ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে প্রেরণ করেছে দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দিরাই-মদনপুর সড়কের দিরাই পৌর এলাকার সুজানগর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হচ্ছেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলার গাজীনগর গ্রামের ওদুদ মিয়ার পুত্র জিহাদ (১৯), একই গ্রামের নুর হোসেনের পুত্র রুমান (২৫), কাশেম মিয়ার পুত্র আরমান (২২)। গুরুতর আহত জিহাদ ও আরমানকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর থেকে মোটরসাইকেল দিয়ে দিরাই পৌর শহরে আসার পথে সুজানগর বেরি খাল এলাকায় সিলেটগামী বাসের সাথে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. রায়হান উদ্দিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।