ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
শেষদিকে ভারনন ফিল্যান্ডার ও কেশব মহারাজ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। নয়তো অবস্থাটা আরো খারাপ হতো দক্ষিণ আফ্রিকার। অবশ্য তাতেও পুনে টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ফলোঅন এড়াতে পারেনি সফরকারী প্রোটিয়ারা।
২০০ রান পিছিয়ে থাকলেই ফলোঅনে পড়তে হয়। সেখানে ফাফ ডু প্লেসিসরা পিছিয়ে আছে এখানো ৩২৬ রানে। ২৭৫ রান করতেই প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেছে প্রোটিয়াদের। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৬০১ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক ভারত।
শনিবার (১২ অক্টোবর) পুনে টেস্টের তৃতীয় দিন শুরু করেন প্রোটিয়াদের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান থিওনিস ডি ব্রুইন ও এনরিখ নতশে। সফরকারীরা আগের দিন শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে। তৃতীয় দিনের শুরুতে তাদের দুঃস্বপ্ন উপহার দেন মোহাম্মদ শামি। ফেরান নতশেকে (৩)। দলীয় ৫৩ রানে ফেরেন ডি ব্রুইনও (৩০)।
এরপর প্রতিরোধের চেষ্টা করেন প্রোটিয়াদের দুই অভিজ্ঞ তারকা ডু প্লেসিস ও কুইন্টন ডি কক। তাদের দু’জনের ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন অশ্বিন। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডি কক (৩১)। স্থায়ী হতে পারেননি মুতুসামিও (৭)। অশ্বিন নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান ডু প্লেসিসকে। প্রোটিয়া অধিনায়কের ১১৭ বলের ৬৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ চার ও ১ ছক্কায়।
তবে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে বড় প্রতিরোধটা করেন দুই টেল-এন্ডার মহারাজ ও ফিল্যান্ডার। দু’জনে মিলে যোগ করেন ১১০ রান। দলীয় ২৭১ রানের মাথায় অশ্বিনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরেন মহারাজ। তার ৭২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২ চারে। এর পরপরই কাগিসো রাবাদাকে তুলে নেন অশ্বিন (২)। অবশ্য মাটি কামড়ে ধরা ব্যাটিংয়ে ভারতীয় বোলারদের ভুগিয়েছেন ফিল্যান্ডার। ১৯২ বল খেলে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। উমেশ যাদবের শিকার ৩টি। ২ উইকেট পেয়েছেন শামি। বাকি উইকেটটি জাদেজার।
আগামীকাল চতুর্থ দিনে পুনরায় ব্যাটিংয়ে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত।