বিশ্বনাথে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের সদুরগাঁও (সৈয়দপুর) গ্রামে আফিয়া বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধ নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত রফিজ আলীর স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ওই নারীর নিজ বসত ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাংসারিক জীবনে তিনি ছিলেন দুই পুত্র-কন্যার জননী।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৃদ্ধা আফিয়া বেগম আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফিয়া বেগম ছিলেন একজন হত-দরিদ্র মানুষ। এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে তিনি চলতেন। দীর্ঘদিন পূর্বে কন্যার বিয়ে দিয়েছেন, আর পুত্র কয়ছর মিয়ার সঙ্গে নিজ বাড়িতে তিনি বসবাস করছেন। কয়ছর সবজি ব্যবসা করে কোনো মতো মা-স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার বিকেলে খাবার খেয়ে আফিয়া বেগম নিজ বসত ঘরে প্রবেশ করেন। কিন্তু রাতের খাবার না খেয়ে নিজ রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। আর মঙ্গলবার সকালে তিনি ঘুম থেকে না উঠায় কয়ছর মাকে ঘুম থেকে তোলার জন্য ডাকতে শুরু করেন। কিন্তু কয়ছরের ডাকেও বৃদ্ধার কোনো সাড়াশব্দ মিলেনি। বিষয়টি কয়ছরের সন্দেহজনক লাগলে সে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবহিত করেন।
পরে থানা পুলিশের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আফিয়া বেগমকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।
এ ব্যাপারে বৃদ্ধা আফিয়া বেগমের পুত্র কয়ছর মিয়া বলেন, কি কারণে তার মা আত্মহত্যা করেছেন তা তার জানা নেই।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, প্রাথমিক ধারণায় মনে হচ্ছে ঘটনাটি আত্মহত্যা। তবে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আর এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। (খবর সংবাদদাতার)