কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
প্রেমের টানে বাংলাদেশের নাগরিক প্রেমিক আব্দুল হালিম (২৫) এর হাত ধরে কানাইঘাটে পালিয়ে আসা ভারতীয় প্রেমিকা ফারভীন সুলতানা চৌধুরী (২২) এর ঘর করা হল না। কানাইঘাট দীঘিরপার ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী এ প্রেমিক যুগলকে আটক করে কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে গতকা বুধবার সকালে সোপর্দ করেন। অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে এ প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে থানার এস.আই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল মামলা দায়ের করেছেন। থানার মামলা নং-০৭, তাং-১৫/০৪/২০১৫ইং। থানা পুলিশের হেফাজতে থাকা ভারতীয় নাগরিক পারভীন ও তার প্রেমিক আব্দুল হালিমকে আজ পুলিশ আদালতে সোপর্দ করবে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট দিঘীরপার ইউপির মানিকপুর গ্রামের সমছুদ্দিনের পুত্র আব্দুল হালিম (২৫) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ‘ক্যারেলিয়ায়’ কয়লা খনিতে শ্রমিকের কাজ করত। এই সুবাদে আব্দুল হালিম খয়লা খনির কাজে থাকা প্রেমিকা পারভীন বেগমের এক চাচাতে ভাইয়ের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে ভারতের আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলার কাটিগড়া থানার সরশপুর গ্রামের নামর আলীর মেয়ে প্রেমিকা পারভীন সুলতানা চৌধুরীর সাথে দুই বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। কিন্তু পারভীনের পরিবারের সদস্য এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারে নি। উভয় দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রেমের সম্পর্ককে বাস্তবে রুপ দিতে এক সপ্তাহ পূর্বে ভারতীয় নাগরিক প্রেমিকা পারভীন আক্তার চৌধুরী প্রেমিক আব্দুল হালিমের হাত ধরে সীমান্ত পেরিয়ে আব্দুল হালিমের বাড়ী কানাইঘাটের মানিকপুর গ্রামে পালিয়ে আসে। থানা হাযতে থাকা আব্দুল হালিম জানায় তারা একে অন্যকে ভালোবাসে। ধর্মীয় শরীয়ত মোতাবেক তারা বিয়েও করেছে। প্রেমিকা পারভীন আক্তার চৌধুরী জানিয়েছে সে আব্দুল হালিমকে অনেক ভালোবাসে। তাকে ছাড়া সে বাঁচবে না। এদিকে পারভীনের আত্মীয় স্বজন মেয়ের পালিয়ে আসার বিষয়টি বুঝতে পেরে বাংলাদেশে বসবাসরত তাদের স্বজনদের বিষয়টি অবহিত করেন। মেয়ের স্বজনরা খোঁজাখুজির একপর্যায়ে জানতে পারে যে, পারভীন বেগম চৌধুরী প্রেমিক আব্দুল হালিমের মানিকপুর গ্রামের বাড়ীতে আছে। পরে তারা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরীকে জানালে তিনি লোকজনের সহায়তায় প্রেমিক যুগলকে আটক করে কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে মঙ্গলবার রাতে সোপর্দ করেন।