ক্লাস বর্জন করে চার দফা দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর ও মানববন্ধন করেছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর একই দবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে এসব কর্মসূচি পালন করে সিকৃবি শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের সামন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে এ শিক্ষার্থীরা গনস্বাক্ষর কর্মসূচি ও মানববন্ধন করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) কৃষি প্রকৌশল টেকনিক্যাল ক্যাডার ও কৃষি অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলীদের জন্য আলাদা উইং চালুসহ চার দফা দাবি জানান। দাবিসমূহ- কৃষি প্রকৌশলীদের প্রতিযোগিতামূলক চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ নিশ্চিতকরণ, বিএডিসি, বিরি, বিনা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কৃষি প্রকৌশলীদের নিজস্ব পদ সৃষ্টি ও সিলেবাস সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্রে নিয়োগ নিশ্চিতকরণ, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে কৃষি বিষয়ে সরকারি স্কুল-কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে কৃষির পাশাপাশি কৃষি প্রকৌশলীদের সুযোগ প্রদান।
শিক্ষার্থীরা জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ সালে কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরী অনুষদের যাত্রা শুরু হয়। প্রতি বছরই কৃষি প্রকৌশলী হিসেবে বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বহুসংখ্যক গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ক্রমশই কমে যাচ্ছে কৃষি প্রকৌশলীদের চাকরির ক্ষেত্র। প্রায় নেই বললেই চলে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনান্য অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকলেও কৃষি প্রকৌশলীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রযুক্তির ছোয়াঁ আনতে নির্বাচনী ইশতেহারে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার লক্ষ্যে যান্ত্রিককরণের কথা উল্লেখ করেছেন। আর এটি কেবল সম্ভব প্রতিটি উপজেলায় কমপক্ষে একজন করে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগ দানের মাধ্যমে। কিন্তু কৃষি প্রকৌশলীরা সন্তোষজনক চাকরি না পেয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়ার কারণে কৃষিতে প্রযুক্তির ছোয়াঁ তেমনভাবে লাগছে না। এ বিষয়ে তারা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি