কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমার থেকে আসা ১১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গার ডেটাবেজ ইসির হাতে রয়েছে। তাই ইচ্ছে করলেই কোন রোহিঙ্গা ভোটার হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকের ভোটার হওয়া বা এনআইডি পাওয়ার যে তথ্য এসেছে, তাতে দেখা গেছে ভোটার হওয়ার জন্য রোহিঙ্গারা চেষ্টা করেছে, কিন্তু ভোটার হতে পারেনি।
সোমবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় বিশেষ কার্যক্রম শেষ করে সার্ভারে তথ্য আপলোড করা হয়। এরপর ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচিং করে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য, কেবল তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য ইসির এনআইডিতে আলাদা রোহিঙ্গা সার্ভার প্রস্তুত রাখা আছে। ভোটার হওয়ার জন্য যাদের তথ্য নেয়া হচ্ছে, তাদের আঙুলের ছাপ ও তথ্য প্রথমেই রোহিঙ্গা সার্ভারে ম্যাচ করে দেখা হচ্ছে। কারও তথ্য এই সার্ভারে ম্যাচ করলে মূল সার্ভারে যাওয়াই হবে না। এছাড়া খসড়া প্রকাশের আগে এ বিষয়ে আরও একবার ম্যাচিং করা হবে। কাজেই কেউ ইচ্ছে করলেই রোহিঙ্গারা ভোটার হতে পারবে না।
লাকী বেগম নামে একজন স্মার্টকার্ড আনতে গেলে মূল সার্ভার থেকে ধরা পড়ে যে তার এনআইডি সঠিক নয়। জিজ্ঞাসাবাদে চিহ্নিত হয়েছে, তাকে বৈধ এনআইডি দেয়া হয়নি। তাকে পুলিশে দেয়া হয়। এরপর এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তদন্ত করে ৪৬ ব্যক্তির ডেটা অসম্পূর্ণ পাওয়া যায়। কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ঠিকমতো নেই, কারো ফরম সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নি, এটা চিহ্নিত করা হয়েছে।