কাজিরবাজার ডেস্ক :
বর্তমান ছাত্রলীগের এই কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে কি না বা দ্রুত কেন্দ্রীয় সম্মেলন দেওয়া হবে কি না—এসব বিষয়ে সংগঠনটির অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। তিনি দলের কোনো নেতার সঙ্গে এখনো কোনো কথা বলেননি বলে জানা গেছে। তবে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক সভা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ছাত্রলীগ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, সম্প্রতি দলীয় এক সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা ওঠায় প্রধামন্ত্রী এই কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।
এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে বিতর্ক সমালোচনা বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কারণ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের অভিভাবক নিজেই সংগঠনটির সব কিছু দেখভাল করছেন। সুতরাং ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে, কি হবে না—এসব বিষয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে গণভবনের সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর গণভবনে প্রবেশের স্থায়ী পাস বাতিল করা হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও দেখা দেননি তিনি।
উল্লেখ, গত বছর ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার পর ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তার প্রায় ১০ মাস পর ৩০১ সদস্যের দুই বছর মেয়াদি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।