কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট থানায় প্রতিদিন আগত সেবা গ্রহীতাদের দ্রুত উত্তম পুলিশিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে ‘কুইক রেসপন্ডিং এন্ড কমিউনিকেটিং সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে। থানায় এসে জনসাধারণ যাতে করে পুলিশের সমস্ত সেবা তাৎক্ষণিক ভাবে কোন ধরনের হয়রানী অর্থ ছাড়াই দ্রুত পান সেই লক্ষ্যে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ কামরুল আহসান বিপিএম এবং সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম’র দিক নির্দেশনায় থানায় এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে বলে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। থানা পুলিশের এ উদ্যোগকে বিভিন্ন মহল সাধুবাদ জানিয়েছেন। নতুন বছরের প্রথম দিনে থানায় কুইক রেসপন্ডিং এন্ড কমিউনিকেটিং সিস্টেমের আওতায় ৪ জন নারী ও ১১ জন পুরুষ এবং তার মধ্য থেকে ২ জন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক পুলিশি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
জানা যায়, পুলিশের আইজিপি ড. মোঃ জাভেদ পাটোয়ারী বিপিএম পুলিশ বাহিনীকে আরো আধুনিক এবং পুলিশের সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে পুলিশের অধিকতর সেবা তাৎক্ষণিকভাবে কোন ধরনের হয়রানী ছাড়াই নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে থানা পর্যায়ে এ সেবার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, কুইক রেসপন্ডিং এন্ড কমিউনিকেটিং সিস্টেমের আওতায় থানায় আগত লোকজনদের সাথে পুলিশকে উত্তম ও ভালো ব্যবহার, আচরনের পরিবর্তন, নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানী না করা ও থানায় আগত ব্যক্তিদের নিকট থেকে সেবার বিনিময়ে কোন ধরনের অর্থ না নেওয়া এবং সেবা গ্রহীতাদের বক্তব্য, সুবিধা অসুবিধা গুরুত্বসহকারে শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা, মহিলা সেবা প্রত্যাশী/ভিকটিম থানায় আসলে নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে মহিলা পুলিশ দ্বারা তাদের বক্তব্য শুনে দ্রুত আইনী সেবা প্রদান করা এবং জিডি, মামলা, পিভিআর, ভিআর, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মামলা রেকর্ড/তদন্তে কোন টাকা পয়সা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে না নিয়ে সব ধরনের আইনী সেবা প্রদানে জন্য থানার সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ জন্য থানা কম্পাউন্ডে কোন ভুক্তভোগী লোক প্রবেশ করার সাথে সাথে তার কাছে ছুটে যাওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে একজন পুলিশ অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি একটি রেজিষ্টারী খাতায় প্রতিদিন আগত ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, তারিখ ও সময়, কী ধরনের সেবা নিতে এসেছেন তা লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে সেই আলোকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য সমস্ত কার্যক্রম দৈনন্দিন ভাবে মনিটরিং করা হবে। সেই সাথে সেবা গ্রহীতাদের কথা গুরুত্বসহকারে শুনে সময় নষ্ট না করে তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও থানায় আগত গরীব, বৃদ্ধ, শিশু, নারী, প্রবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শ্রেণির লোকজনদের দ্রুত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কানাইঘাট থানায় এ সেবা বছরের প্রথম দিনে চালু করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে পুলিশের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন আরো দৃঢ় ও নতুন মাত্রার সংযোজন হবে বলে থানার ওসি শামসুদ্দোহা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। উক্ত সেবা কার্যক্রম থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম কর্তৃক চালু করায় আগত ভুক্তভোগীসহ সকল শ্রেণির মানুষ বিনা বাধায় পুলিশি সেবা পেতে সহজ হবে বলে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ জানিয়েছেন।