কানাইঘাটে সংবাদপত্রের স্টিকার লাগানো রোড পারমিটবিহীন সিএনজি অটোরিক্সা আটক করতে মাঠে নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ

102
কানাইঘাটে রোড পারমিট বিহীন এসব সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ী সংবাদপত্রের নাম লাগিয়ে রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে রোড পারমিট বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা গাড়ীতে জরুরী সংবাদপত্র বহনের নাম লাগিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে মাঠে নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ট্রাফিক পুলিশ সংবাদপত্র বহনের নাম লাগানো একটি রোড পারমিট বিহীন সিএনজি গাড়ী আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। কানাইঘাট ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন যে সব সিএনজি গাড়ীগুলোতে মহান সাংবাদিকতা পেশা কে কলঙ্কিত করে জরুরী জাতীয় সংবাদপত্র বহন ও সংবাদপত্রের নাম লাগিয়ে কানাইঘাটের রাস্তাঘাটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সে সব সিএনজি গাড়ী আটকের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। সাংবাদিক পেশার সাথে যারা সত্যিকার অর্থে জড়িত তারা দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্রে স্টিকার ও সংবাদপত্র বহনের নাম লাগিয়ে যে সব দুষ্ট চক্র মাসুহারা আদায় করে গাড়ি চালাতে সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে দাবী জানিয়ে আসছিলেন। এনিয়ে বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন সড়কে কি ভাবে অটোরিক্সা সিএনজি গাড়ী চলে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। কিন্তু সাংবাদিকতার মতো মহান পেশার নাম ভাংগিয়ে কানাইঘাটে রোড পারমিট বিহীন অটোরিক্সা সিএনজি গাড়ী যেন আর না চলে এ জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সহ ট্রাফিক পুলিশের সাথে জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে জরুরী জাতীয় সংবাদপত্র বহন ও সংবাদপত্র বহনের নাম গাড়ীতে লিখে সাংবাদিকতা পেশার সুনাম ক্ষুন্ন করে কতিপয় ভূঁইফোড়রা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রতিটি গাড়ী থেকে মাসে ৭০০/১০০০ টাকা করে আদায় করছে তারা। এতে করে সংবাদপত্র ও পেশাদার সাংবাদিকদের সুনাম মারাত্মক ভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। অনেকে এনিয়ে সাংবাদিকদের নামে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে থাকেন। কয়েকজন সিএনজি চালকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিভিন্ন প্রত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ফয়ছল কাদির ও তার সহযোগিরা মাসিক মাসুহারা নিয়ে এসব গাড়ী চালাচ্ছে। এসব ভূঁইফোড়রা ভুয়া অনেক সাংবাদিক সংগঠনের পরিচয় দিয়ে থাকে। সংবাদপত্র বহনকারী স্টিকার লাগানো গাড়ীগুলো চোরাইপণ্য সামগ্রী বহন করে থাকে এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে। সংবাদপত্র বহনের নাম থাকার কারনে পুলিশ এসব গাড়ী আটক করতে সাহস পায় না। মাঝে মধ্যে পুলিশ এসব গাড়ী আটকের চেষ্টা করলে আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার কার্ডধারী এসব অপকর্মের সাথে জড়িত অপ সাংবাদিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে থাকে। ভূইফোড় এসব কার্ডধারী সাংবাদিক পরিচয়দানকারীদের কোন সংবাদ পত্রপত্রিকায় চোখে পড়ে না। পত্রিকার কার্ড ব্যবহার করে মহান সাংবাদিকতা পেশার সুনাম ক্ষুন্ন করে রমরমা সিএনজি গাড়ীর ব্যবসা তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উপজেলার অটোরিক্সা সিএনজি গাড়ীর স্ট্যান্ডের সাথে জড়িত শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কে সংবাদপত্র বহনের নাম ব্যবহার করে অটোরিক্সা সিএনজি গাড়ী না চালানোর জন্য স্থানীয় সাংবাদিকরা আহ্বান জানিয়েছেন।