ভোক্তা অধিদপ্তরকে তিন মাসের মধ্যে হটলাইন চালুর নির্দেশ

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে ভোক্তাদের সার্বক্ষণিক (২৪ ঘণ্টা) সেবা দিতে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরকে তিন মাসের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালুর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হটলাইন চালু করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়াই দ্রুত অর্থ বরাদ্দ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে ১৫ অক্টোবর অগ্রগতি জানাতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিষ্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিষ্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি।
হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে হাজির হন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) শামীম আল মামুন।
এ সময় আদালতে হটলাইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন একটি বেসরকারি সফটওয়্যার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাফসান জানি সামি। বিশেষজ্ঞ মতামতে তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিয়ে মাসিক ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে খরচার ভিত্তিতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ে মাধ্যমে হটলাইন চালু করতে মাসে সর্বসাকুল্যে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।’
এরপর আদালত শামীম আল মামুনের কাছে বাজেটের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, ‘কমিটির আলোচনায় আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টি আসেনি।’
তখন আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘বিষয়টি আপনাদের নজরে কেন আসেনি? আগে বলেছেন, আপনাদের লোকবল কম। তাহলে আপনারা কীভাবে এটি স্থাপন করবেন?’
এ সময় শামীম আল মামুন ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, ‘আপনারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্থাপন করব।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘আউটসোর্সিং করতে কত দিন সময় লাগবে?’
জবাবে শামীম বলেন, ‘বাজেট পাওয়ার পর তিন মাস লাগবে। কারণ ব্যুরোক্রেটিক প্রসেসটা মেনটেইন করতে হবে।’ এরপর আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।
গত ২০ আগষ্ট শামীম আল মামুনকে হটলাইন স্থাপনের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেষ্টিং ইনষ্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া নামীদামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের (সাব-ষ্ট্যান্ডার্ড) পণ্য বাজার থেকে সরাতে করা এক রিটের শুনানিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।