বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী নাগরিক আব্দুল রূপের (৩৭) লাশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। এ সময় তার পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বোবারতল এলাকার সীমান্ত খুঁটি ১৩৮০/৪-এস সংলগ্ন স্থানে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশ হস্তান্তর করে ভারতের পুলিশ। লাশ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার ওসি সীমান্ত বড়ুয়া ও বিএসএফ ১৩৪ ব্যাটেলিয়নের এসি সন্তোষ কুমার এবং বাংলাদেশের পক্ষে বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম ও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, ডা. শুভ্রাংশু শেখর দে প্রমুখ।
এর আগে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও পাথারকান্দি থানার পুলিশ লাশ নিয়ে পৌঁছায়। এরপর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পরে সদর ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন ও নিহতের বড় ভাই আব্দুল গনি আব্দুর রূপের লাশ শনাক্ত করেন। পরে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে লাশ হস্তান্তর করে ভারতের পুলিশ।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম রবিবার বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ গ্রহণ করা হয়েছে। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সে দেশে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কাগজপত্র আমরা দেখেছি।’
বিয়ানীবাজার বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফয়জুর রহমান বলেন, ‘লাশ হস্তান্তর হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নে দুই দেশের পুলিশ ছিলেন। বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আব্দুর রূপকে গুলিকে করে হত্যার বিষয়ে আমরা লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছি। বিএসএফ জানিয়েছে, অনুপ্রবেশ করে নিহত আব্দুর রূপ তাদের উপর আক্রমণ করেছে। কিন্তু এ বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করা যাচ্ছে না। যেহেতু ঘটনা ভারতের ভেতরে। বিজিবি’র জোরদারকৃত টহল কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’