পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৪নং শমসেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: জুয়েল আহমদ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে শ্লোগান তৈরি করেছেন চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে ভোটের আমার দরকার নাই মাদক মুক্ত সমাজ চাই।
তিনি গত ১৩ আগষ্ট ফেসইবুক একটি ষ্ট্যাটাস লিখেছেন- মাদক মুক্ত শমসেরনগর গড়তে আজ থেকে আমার যুদ্ধ শুরু হল, যদিও কাজটি বেশ কঠিন, তবে আমার বিশ্বাস শমসেরনগরের মানুষ আমার কাজে পূর্ন সহযোগিতা করবেন, মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলছি, আজ থেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দাও, মাদক সেবনকারীদের বলব নিজেদের সংশোধন কর, না হলে যত শক্তিশালী হও রক্ষা পাবে না, যারা মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবিদের প্রশ্রয় দাও তাদের উদ্দেশ্যে বলব, নিজের সামান্য লাভের জন্য মাদকের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যাক্তিকে আশ্রয় দিও না, অন্যথায় আশ্রয় দাতারাও রক্ষা পাবে না, পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলে এমন ব্যবস্থা করুন, যাতে কোন মানুষ মাদক ব্যবসার কথা চিন্তা করলে ভয়ে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটাতে হয়।
আমার ব্যক্তিগত একটি ঘোষনা: যদি কোন ব্যক্তি মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে আপনার নাম গোপন রেখে আমার পক্ষ থেকে নগদ ৫০০০ টাকা পুরস্কার দেব। চা বাগানে যারা চোলা মদ, হাড়িয়া বা দেশি মদের ব্যবসা কর, যদি তোমরা নিজ ইচ্ছায় মদের ব্যবসা বন্ধ করে দাও তাহলে আমি অন্য ব্যবসা করার জন্য প্রত্যেককে নগদ ১০ হাজার টাকা সহায়তা করার ব্যবস্থা করে দেব। অন্যথায় চা বাগানের মদ ব্যবসায়ীদের রক্ষা নেই। পরিশেষে শমসেরনগরবাসীর কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আসুন সবাই মিলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করি। শমসেরনগরকে চিরদিনের জন্য মাদক মুক্ত করি।
শনিবার (১৭ আগষ্ট) শমসেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো: জুয়েল আহমদ এর নেতৃত্বে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অরুপ কুমার চৌধুরীসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় ইউপি সদস্য সীতারাম বীন, চা বাগানের মোহন রবিদাস, ছাত্র যুব সমাজকে নিয়ে শমসেরনগর ইউনিয়নের কানিহাটি চা বাগানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন মদ তৈরির কারখানা থেকে প্রায় ৫০০লিটার দেশি মদ উদ্ধার করে ধ্বংস এবং মদ তৈরির সরঞ্জাম ভেঙ্গে ফেলা হয়।
মো: জুয়েল আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কোন ধরনের আপোষ নয়। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।