স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার হযরত দরিয়া শাহ (র.) মাজারের দক্ষিণ প্রান্তের মসজিদের সংস্কার কাজের সময় মাটির নিচ থেকে ৫টি হ্যান্ড গ্রেনেড ও ১৯টি গুলি ভর্তি এলএমজির ম্যাগাজিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টার দিকে নির্মাণ শ্রমিকরা এই গোলাবারুদের সন্ধান পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এগুলো উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, এই গোলাবারুদ মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হতে পারে। উদ্ধারকৃত গ্রেনেড-গুলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, কদমতলী এলাকার দরিয়াশাহ মাজার সংলগ্ন মসজিদের সংস্কার কাজ চলছিল। বুধবার সকাল ১১ টার দিকে সংস্কার কাজের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে অন্তত ৫ টি হ্যান্ড গ্রেনেড ও কিছু ম্যাগাজিন দেখতে পায় শ্রমিকরা। মসজিদ কর্তৃপক্ষ সাথে সাথেই পুলিশকে খবর দেন। র্যাবের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই স্থানে বাংকার ছিলো। ফলে গ্রেনেড ও ম্যাগাজিনগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হতে পারে বলে ধারণা করছি।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ওই মসজিদটি পুরনো। বর্তমানে নতুন করে এটা নির্মাণ করার জন্য কাজ চলছে। গতকাল শ্রমিকরা মাটি খোঁড়ার সময় ৫টি গ্রেনেড ও ১৯টি গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেনেড ও ম্যাগাজিনগুলোতে মরিচা ধরা। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের হয়ে থাকতে পারে। যে স্থানে এগুলো পাওয়া গেছে, সেখানে বাংকার ছিল বলে আমরা ধারণা করছি। গ্রেনেড ও ম্যাগাজিনের পরীক্ষার জন্যে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদেও কাছে সেগুলো হস্তান্তর করা হবে বলেও জানিয়েছেন আব্দুল ওয়াহাব।