গোলাপগঞ্জের সাংবাদিক সেলিম হাসান কাওছারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকায় মিথ্যা কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা গোলাপগঞ্জ পৌরসভার টিকরবাড়ী পঞ্চায়েতবাসীর উদ্যোগে টিকরবাড়ীর জামে মসজিদ এ প্রতিবাদ সভার (বৈঠক) অনুষ্ঠিত হয়। এলাকার মুরব্বি ব্যবসায়ী জমির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাব্বির আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন-টিকরবাড়ী জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি শফিক উদ্দিন, ব্যবসায়ী পাকি মিয়া, সমসু মিয়া, আব্দুল জব্বার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাজী আব্দুল কাদির, হাজী মলিক মিয়া, জমির উদ্দিন, ফাকির আলী, আব্দুল লতিফ, সওদাগর, রফিক মিয়া, সদাই, খয়ের উদ্দিন, মুতছিম আলী, শুনু মিয়া ফয়জুর রহমান, হবই মিয়া প্রমুখ।
ওই বৈঠকে রণকেলী উত্তর ও টিকরবাড়ী পঞ্চায়েতের মরহুম আওলাদ হোসেন মাষ্টারের ছেলে সাংবাদিক সেলিম হাসান কাওছার বলেন,আমি সাংবাদিকতায় আসার পর থেকেই উপজেলার গোলাপগঞ্জ সদর ইউপির চৌঘরী এলাকার মৃত আব্দুর রহিম দর্জির ছেলে আব্দুল আহাদ ২০১২ সাল থেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট প্রত্রিকায় মিথ্যা খবর প্রকাশ করছেন তার অনুসারীদের দিয়ে। আহাদ স্থানীয় একটি পত্রিকার গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি হওয়ায় তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রশাসন। আর সে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। তার কারসাজিতে আমাকে সিলেট শাহপরাণ (রহঃ) থানায় (জিআর ৫২/১২) মামলায় আসামী করা হয়। ওই মামলা ১৯/১২/২০১৬ইং সিলেট মেট্রোপলিটন ১ম ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রহমানের আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার পর ওইদিনই মাননীয় আদালত ওই মামলা থেকে আমাকে খালাস প্রদান করেন। এর পরেও ওই আহাদ নিজের অপরাধকে ঢাকতে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতর কর্তৃপক্ষের কাছেও হয়রানির সকল তথ্য প্রমাণসহ একাধিক অভিযোগও দিয়েছি। বিভিন্ন সময়ে তার দুর্নীতির খবর প্রকাশ করার পর থেকে সে আরো বেপরোয় হয়ে উঠছে। ওই আহাদ পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক থাকাকালিন সময়ে বিগত ২০১৬ সালে পল্লী বিদ্যুতের দুর্নীতির অনুসন্ধানী খবর প্রকাশের পর পিবিআই ও সিআইডি ব্যুরো দুর্নীতির সত্যতাও পায়। বিজ্ঞপ্তি