স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির অভিযোগ করে বলেছেন, ‘পুলিশ প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। এছাড়া নেতাকর্মীদের বাবা-মাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাদের সন্তানরা যেন সিলেট ছেড়ে চলে যায়।’ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মুক্তাদীর বলেন, ‘গত ১০ বছর সিলেট-১ আসনে বিনা ভোটে যিনি এমপি ছিলেন, তিনি মূলত জনবিচ্ছিন্ন। তাদের আর জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এর জন্য বাঁকা পথে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়।’ এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের রাহুগ্রাস থেকে দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে, কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির আলোয় নিয়ে আসতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া থেকে শুরু করে বিএনপির সর্বশেষ শাসনামলেও দেশে গণতান্ত্রিক চর্চ্চা, বাক স্বাধীনতা, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধসহ সামাজিক মূল্যবোধ সমুন্নত ছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার দেশকে সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা থেকে ক্রমেই দুরে সরিয়ে নিয়ে গেছে, ফলে আওয়ামীলীগও ক্রমেই জনগণের কাছ থেকে দুরে সরে গেছে। এখন সাধারণ মানুষের কাছে দল হিসেবে আওয়ামীলীগ বা তার দোসরদের ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই মর্যাদাপূর্ণ এই আসনে আমি ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আপনাদের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে সিলেটবাসীর একজন খাদেম বা সেবক হিসেবে আত্মনিয়োগ করতে চাই।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার পক্ষে রয়েছেন কিনা সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মুক্তাদির বলেন, এখানে ব্যক্তির নির্বাচন হচ্ছে না। হচ্ছে ধানের শীষের নির্বাচন আর আরিফুল হক যেহেতু আমাদের নেতা তাই তিনি ২/১ দিনের মধ্যে বিরামহীন প্রচারণায় নামবেন। এখনও তিনি প্রচারণায় আছেন। হয়তো সেটি মাঠে নেই। অন্য লাইনে প্রচারণা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল গাফফার, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সহ-সভাপতি সিটি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লোদী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত সাদেকসহ নেতৃবৃন্দ।
