ছাতক পৌরশহরে দুটি বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬

13

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতক পৌরশহরে দুটি বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাতদের ছুঁড়া গুলিতে শিশুসহ ৬ ব্যক্তি আহত হয়। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ৪ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে পৌরশহরের দক্ষিণ মন্ডলীভোগ এলাকার বাসিন্দা মকবুল আলী ও জাহানারা বেগমের বাসায় ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। মকবুল আলী ও জাহানারা বেগম ভাড়াটে হিসেবে প্রবাসীর স্ত্রী আঙ্গুরা বেগমের বাসার দুটি ইউনিটে বসবাস করে আসছেন। মকবুল আলী জানান, গভীর রাতে নৌকা যোগে আসা মুখোশধারী ১৫-২০ জনের একটি সশস্ত্র সংঘবদ্ধ ডাকাত দল বাসার কেচি গেটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় মকবুল আলী ও তার পরিবারের লোকজন হাক-ডাকসহ লাঠিসোটা নিয়ে ডাকাতদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকলে মকবুল আলীর পুত্র রাকিব আলী (১৩) সজীব আলী (৯) ও সাকির আলী (১৫) গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ডাকাতরা কেচি গেটের তালা ও দরজার লক ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের লোকজনদের বেধড়ক মারপিটসহ তাদের বেঁধে রাখে একটি কক্ষে। ডাকাতরা প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী লুটতরাজ চালিয়ে মকবুল আলীর ঘর থেকে নগদ ৪৬ হাজার টাকা, সোয়া ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ৫টি মোবাইল সেট, কাপড়র-চোপড়সহ মোট ৪ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল লুটে নেয়। পরে পাশের ইউনিট জাহানারা বেগমের বাসা থেকেও মালামাল লুট করে নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ডাকাতদের প্রহারে মকবুল আলী (৫৫), তার স্ত্রী রুহেলা বেগম (৪৫) ও কন্যা সোমা বেগম (২২) আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই থানার এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসাসহ আলামত উদ্ধার করে নিয়ে যান বলে জানাযায়। বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) বিল্লাল আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো: মোস্তফা কামাল ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে জানান, আলামত হিসেবে ভাঙ্গা দরজা লক পাওয়া গেছে। ডাকাত গ্রেফতারে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলবে। এদিকে মঙ্গলবার প্রায় সাড়ে ১১টার সময় চরমহল্লা ইউনিয়নের খরিদিচর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র আবু লেইছের বাড়িতে পুলিশের পরিচয় দিয়ে ডাকাতরা হানা দেয়। ডাকাতরা বাসার গ্রিল ভেঙ্গে প্রবেশের চেষ্টা করলে ডাকাতের উপস্থিতি আশপাশের লোকজনদের জানান দেয়া হলে। তাৎক্ষণিক মসজিদের মাইকে ডাকাতদের উপস্থিতি প্রচার করা হলে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। খবর পেয়ে জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) নির্মল চন্দ্র দেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।