কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
এবার কুলাউড়ায় কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত বগি রেখে ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।
কুলাউড়া রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল ৭টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৯টা ২০ মিনিটে লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনে থাকা যাত্রীরা আতংকিত হয়ে পড়েন। লাইনচ্যূত বগিটি উদ্ধার করতে না পেরে সকাল ১১টার দিকে ওই বগিটি কুলাউড়ায় রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় কালনী এক্সপ্রেস।
এর আগে গত শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটির মধ্যখানের একটি বগি কুলাউড়া রেলস্টেশনের প্রবেশমুখে প্রায় তিনশ মিটার অদূরে আউটার সিগন্যালের লাইনচুত্য হয়ে যায়। লাইনচ্যুত হওয়ার পরও ট্রেন চালক ট্রেনটি না থামিয়ে লাইনচ্যুত বগিটি স্লিপারের ওপর দিয়ে স্টেশন প্লাটফর্মে নিয়ে আসেন। এঘটনায় প্রায় ২০ জন ট্রেন যাত্রী আহত হয়েছেন। এবং রেললাইনের প্রায় ৩শ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
একদিনের ব্যবধানে একইস্থানে দুইবার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় রেল মেরামতের লোক দেখানো কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রেনে থাকা যাত্রী ও স্থানীয় এলাকাবাসী। তারা মনে করছেন, কেন এত ঝুঁকিপূর্ণ। রেল বিভাগের অবহেলা ও চরম গাফিলতির কারণে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের যাত্রীদের মাঝে চরম বিপদ নেমে আসতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, এই ক্রসিং পয়েন্টের সমস্যা আমরা এলাকাবাসী অনেক আগ থেকেই রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা এটি মেরামতের স্থায়ী কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। লোক দেখানো ঢিলেঢালা মেরামত করছেন যার কারণে প্রতিনিয়ত ট্রেন লাইনচ্যুত হচ্ছে। ভয়ে মানুষ ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেবে।
কুলাউড়া রেল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মুহিবুর রহমান কালনী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কালনী ট্রেনের চাকাটি হঠাৎ করে লাইনচ্যুত হয়। চাকাটি লাইনে তোলা হয়েছে। কেন যে বারবার লাইনচ্যুত হয়েছে তা একমাত্র প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত রেলের প্রকৌশল বিভাগের লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের মেরামত কাজ করেছেন।
রেলের উপসহকারী প্রকৌশলী সিলেট (পথ) মো. আশরাফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কি কারণে বার বার ট্রেন লাইনচ্যুত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন রাতে কুলাউড়ার বরমচাল ইসলামাবাদ এলাকার বড়ছড়া ব্রিজে ঢাকাগামী উপবন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পতিত হলে ঘটনাস্থলে চারজন নিহত হন ও আহত হন শতাধিক।