কোতোয়ালী থানায় আইপি ক্যামেরার কাজ পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী পলক ॥ নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে আরো সক্রিয় হয়ে কাজ করুন

43
ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় কোতোয়ালী থানায় আইপি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক।

স্টাফ রিপোর্টার :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের আওতায় আইপি ক্যামেরার কাজ পরিদর্শন করেছেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার এসএমপি’র কোতোয়ালী মডেল থানায় অবস্থিত কণ্ট্রোল রুমে গিয়ে তা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে আরো সক্রিয় হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম, এডিসি বিভূতি ভূষন, সুদ্বীপ, ডিসি (ট্রাফিক) ফয়ছল আহমদ, কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম মিয়া, প্রজেক্টের পিডি মহিদুর রহমান, ডিপিডি মধুসুদন চন্দ্র। আরো উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের চায়নার প্রতিনিধগন এবং সিসি ক্যামেরার তত্ত্বাবধানে থাকা হুয়াওয়ের লোকাল পার্টনার গ্লোবাল ট্রেড কর্পোরেশনের সিইও মছনুল করিম চৌধুরী, সিওও তানজিমুল ইসলাম।
পরিদর্শনের পূর্বে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলককে গার্ড অব ওনার প্রদান করা হয়। পরে কোতোয়ালী থানা কর্তৃপক্ষ ও গ্লোবাল ট্রেড কর্পোরেশন প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক বলেন, সরকার দেশকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন করতে কাজ করে যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশ অনেক উন্নত হয়েছে। তাই ছিনতাই, চুরি, রাহাজানি, খুন এসব অপরাধ বন্ধ করতে সরকার ডিজিটাল সিটি প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অপরাধ কমে আসবে, সাধারণ নাগরিক আরো সুন্দর ও নিরাপত্তা নিয়ে জীবন যাপন করতে পারবে।

সিলেট বিভাগীয় উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সিলেট বিভাগীয় উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন।
বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন মাত্র ৮ বছরে ডিজিটাল সেন্টার হয়ে উঠেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল সন্তানের স্বীকৃতি দিয়েছেন। ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার সুফল এখন দৃশ্যমান। এটি প্রতিষ্ঠার ফলে যোগাযোগ, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল খাতেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে এসব সেন্টারকে ই-কমার্স হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রিক প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ আয়োজনের মাধ্যমে ই-গভর্ন্যান্স, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আইসিটি শিল্পের বিকাশে ডিজিটাল অর্থনীতির সক্রিয় অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পলক বলেন, ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন পালন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ডিজিটাল সেন্টারের ১শ টি ডিজিটাল সেবা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা মাসে গড়ে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করছেন। দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের আয়ের পরিমাণও বাড়ছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই-এর উপসচিব ও লোকাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট মো. পারভেজ হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এটুআই-এর অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক পিএএ মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এটুআই-এর উপসচিব ও ই-সার্ভিস স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ল্যাবের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. তহরুল হাসান টুটুল, ইএম সল্যুশন আর্কিটেক্ট রেজওয়ানুল হক জামি প্রমুখ। এর আগে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। এবারের শ্লোগান ছিল বাড়ছে সেবার বহর, গ্রাম হবে শহর।