জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে নদী ইজারাদার জানে আলমের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মিত তেলিকোনা জামে মসজিদের বেশ কিছু জায়গা সম্পত্তি রয়েছে। মসজিদের পাশে রয়েছে স্থানীয় চন্ডির ডহর নামক নদী। নদীর পূর্বপার জগন্নাথপুর উপজেলার আওতায় হলেও পশ্চিমপাড় দিরাই ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আওতাধীন। নদীটি পারাপারের জন্য রয়েছে খেয়া নৌকা। এ খেয়া নৌকার ইজারাদার হচ্ছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ এলাকার পাইকাপন গ্রামের জানে আলম। তবে যুগযুগ ধরে নদীর পশ্চিম পাড়ে বসে খেয়া নৌকার ভাড়া উত্তোলন করলেও এবার নদীর পূর্বপাড়ে বসে ভাড়া উত্তোলন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইজারাদার যে জায়গায় বসে ভাড়া তুলেন এ জায়গার মালিক হচ্ছে মসজিদ। যে কারণে মসজিদ কমিটি ইজারাদারকে মসজিদের জায়গায় বসে ভাড়া নিতে বাধা-নিষেধ করেন। এছাড়া মসজিদের পাশে রয়েছে আরেকটি ফেরিঘাট। এ ঘাটটি ইজারা দেয় স্থানীয় কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। এবার এ ঘাটটি ইজারা নেয় মসজিদ কমিটি। নদী ইজারাদার জানে আলম এ ঘাটটি ইজারা না পাওয়ায় সে ক্ষুব্দ হয়ে উঠে। এসব বিষয় নিয়ে মসজিদ কমিটি ও নদী ইজারাদার জানে আলমের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে নদী ইজারাদার জানে আলম মসজিদ কমিটিকে হয়রানী করতে মামলা ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ২/১ টি কাগজ ও অনলাইন পত্রিকায় মিথ্যা অপ-প্রচার করে। এতে মসজিদ কমিটি সহ গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ১১ জুন গ্রামবাসীর উদ্যোগে মসজিদ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। স্থানীয় এলাই বক্স এর সভাপতিত্বে ও মাস্টার কুতুব উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল হক, সমাজকর্মী সিরাজ আলী, জিয়া উদ্দিন, নুর ইসলাম, রুহুল আমিন, নুর আলী, আছকন আলী, সৈয়দুর রহমান, আবুল কাশেম, সমর আলী, আবদুল হাসিম, আবদুল হান্নান, তারাই মিয়া, ছমিউল হাসান, সজিব মিয়া, আবদুল আউয়াল, এমরান মিয়া, আবদুল কদ্দুছ, রুমেন আহমদ, তছকির আলী, আবদুল রহিম, আলী আহমদ, আবিদুর রহমান, শামসুল মিয়া, আলিম উদ্দিন, ফারুক মিয়া, মাহবুব আলম, ছমির উদ্দিন, ফখর উদ্দিন, আবুল কালাম, আপ্তাব উদ্দিন, ডাঃ ইদ্রিছ আলী, মাসুদ আলম সুমন, আবদুল ওয়াহাব, চুনু মিয়া, শুকুর আলী, জমিরুল হক, সাজিদ মিয়া, আমির আলী, আবু মিয়া প্রমুখ।