স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বিরুদ্ধে ভূমি দখল চেষ্টার যে অভিযোগ করে গেছেন তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন নগরীর হাওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আশরাফ আহমদ সুমন। গতকাল রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
লিখিত বক্তব্যে সুমন বলেন, গত ২ জুন সংবাদ সম্মেলনে নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার ফিরোজ খানের পুত্রবধূ জোহেলা বেগম রুমি অভিযোগ করেছেন আদালতে মামলা চলা অবস্থায় আমরা তার শ্বশুরের মালিকানাধীন ১৯টি দাগের ১২শ’ শতক ভূমি দখল করতে গিয়েছিলাম। এই বক্তব্য দিয়ে রুমি এবং ফিরোজ খানের উত্তরাধিকারীরা প্রকৃত সত্য গোপন করে চরম মিথ্যাচার করে গেছেন।
আশরাফ আহমদ সুমন বলেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে আমি ২৫ শতক জায়গার মালিক। ২৫ শতক জায়গার মালিক সেই জায়গার এসএ রেকর্ডিয় মালিক বদর উদ্দিন আহমদ ও হোসনা বানুর কাছ থেকে ১৯৬১ সালে সাফকবালা দলিলে ক্রয়সূত্রে স্বত্ত্ব মালিকানা লাভ করেন শাহী ঈদগাহের শোয়েবুন নবীর মা এশা বানু। ওই জায়গার খতিয়ান নং ২৬১৩। ওই দলিলের প্রথম সাক্ষী ছিলেন ফিরোজ খান নিজেই। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এশা বানু ওই জায়গা তার ছেলে শোয়েবুন নবীকে হেবা দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন। ২০১৮ সালের ১৭ মে শোয়েবুন নবী আমাকে ওই জায়গার অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে ক্ষমতা প্রদান করেন। মায়ের কাছ থেকে জায়গার মালিকানা লাভের পর ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি খাজনা দিতে গিয়ে শোয়েবুন নবী দেখতে পান ফিরোজ খান জাল কাগজাদি দিয়ে ২৬১৩/১ নম্বর খতিয়ানে ওই জায়গা তার নামে নামজারি করে নিয়েছেন। ফিরোজ খানের নামজারি খারিজের জন্য ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ এসিল্যান্ডের কাছে আবেদন করেন শোয়েবুন নবী। তদন্ত ও উভয় পক্ষের শুনানী শেষে এসিল্যান্ড ফিরোজ খানের নামজারি বাতিলের আদেশ দেন এবং ২৬১৩/১ নম্বর খতিয়ান বাতিল করে জায়গা মূল খতিয়ানে (খতিয়ান নং-২৬১৩) নিয়ে যাওয়ার আদেশ প্রদান করেন। একই সাথে রেকর্ড সংশোধনেরও আদেশ দেন তিনি। পরবর্তীতে শোয়েবুন নবী তার জায়গা নিজের নামে নামজারি করান এবং পর্চা প্রাপ্ত হন। চলতি বছর পর্যন্ত তিনি খাজনাও পরিশোধ করেন।
সুমন বলেন, সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ খানের পুত্রবধূ রুমি বারবার কাউন্সিলর আজাদের নাম টেনে এনেছেন। অভিযোগের আঙুল তোলার চেষ্টা করেছেন তার দিকে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে- আমরা নয়, ফিরোজ খানের ছেলে মোক্তাদির খানই ২০১৮ সালের জুন মাসে কাউন্সিলর আজাদের কাছে গিয়ে বিচারপ্রার্থী হয়েছিলেন। কাউন্সিলর আজাদের অনুরোধে আমরা তিন শতক জায়গা ফিরোজ খানের ছেলে মোক্তাদিরের কাছে বিক্রি করতে সম্মত হই। আমরা বিশ^াস করে চেকের বিনিময়ে মোক্তাদির খানকে জায়গা রেজিস্ট্রি করে দেই। কিন্তু মোক্তাদির খান পরে চেকের টাকা পরিশোধ করেননি। আমরা চেক জালিয়াতির মামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এম এ ওয়াহিদ, আলহাজ সোয়েবুন নবী, মাসুদ খান, সারওয়ার হোসেন এনাম, মোহাম্মদ আহাদ, আহমদুর রহমান চৌধুরী টিটু, সায়েম আহমদ, আবুল মিয়া, কিসমত খান, জাহাঙ্গির আলম, পারভেজ আহমদ রুবেল ও সায়দুল আহমদ।