মহাসড়কের প্রবেশমুখে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, পথচারী

26

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর দক্ষিণ সুরমা হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর এলাকায় ঢাকা-সিলেট বাইপাসের পাশে ময়লার ভাগাড় ফেলে এলাকাবাসীকে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ তুলেছে সিলেট সিটি কপোরেশন। ২৫নং ওয়ার্ডের বারখলা ও মোমিনখলা আবাসিক এলাকার মধ্যবর্তী স্থান, রেল ক্রসিং ওভার ব্রীজ সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে এই ময়লা-আবর্জনা ফেলছে সিটি কর্পোরেশন।
এতে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। দুর্গন্ধের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
নগরীর বাহিরে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান লালমাটিয়ায় না ফেলে দীর্ঘদিন ধরে সিটি কর্পোরেশনের ট্রাকে ও ভ্যানে করে নগরীর ভেতর ফেলছে আবর্জনা। সে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের স্তুপে প্রায় সময় আগুন লাগিয়ে দেয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী, পথচারী, বারখলা ও মোমিনখলা এলাকার মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এরই মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠছে। এছাড়া ময়লার ভাগাড়ের পাশেই মোমিনখলা রেল লাইন সংলগ্ন স্থানে রয়েছে একটি জামে মসজিদও। ফলে মসজিদের মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে রাতদিন শতশত যানবাহন ওই স্থান অতিক্রম করার সময় অনেক যাত্রী বমি করেন। আর পথচারীরা নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সিলেটের প্রবেশমুখ হওয়ায় ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে বলার পরও ময়লা ফেলা অব্যাহত থাকায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সড়কের এক পাশে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তুপ। মরা পশু, মোরগের নাড়িভুঁড়ি পচে গলে বিশ্রী দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পাশ দিয়ে নাক ঢেকে চলছেন পথচারীরা। এছাড়া আশপাশ এলাকাও রয়েছে বেশ কিছু কলোনী।
এ সময় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। বিরক্তিকর দুর্গন্ধ। বমি চলে আসে। এরকম অবস্থা অনেক দিন থেকে চলছে। আমরা দ্রুত এই অবস্থার সমাধান।
সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক রফিক মিয়া বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। কিন্তু সড়কের এই জায়গায় এলে ময়লা আবর্জনার থেকে উৎকট গন্ধ ছড়ায়। নাক চেপে গাড়ি চালাতে হয়। যাত্রীরাও নাক-মুখ চেপে দ্রুত গাড়ি চালাতে তাড়া দেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।