সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন শাল্লা উপজেলা সভাপতি দৈনিক সুনামকণ্ঠের শাল্লা উপজেলা প্রতিনিধি জয়ন্ত সেনের ওপর নৃশংস হামলা করেছে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে সুনামগঞ্জ ফেরার পথে জয়পুর ও নিয়ামতপুর গ্রামের মধ্যবর্তী নির্জন স্থানে জয়ন্তকে বেধড়ক মারধর করে মৃত মনে করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও দু’টি মোবাইল ফোনসহ নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে এলাকার কয়েকজন লোক তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে এসে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালের ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে রেফার করার পরামর্শ দিলে সুনামগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে সদর হাসপাতালেই রাখার অনুরোধ জানান।
সাংবাদিক জয়ন্ত সেনের পরিবার জানান, মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে সুনামগঞ্জে আসার পথে গোপাল রায়, রিংকু রায়, ইন্দ্র রায়সহ কয়েকজন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক জয়ন্ত সেনের বাড়ি ঘেরাও করে। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে সুনামগঞ্জে আসার পথে ওৎপেতে থাকা এই সন্ত্রাসীরা নিয়ামতপুর ও জয়পুর নামক স্থানে তাকে বেধড়ক মারধর করে। তার ডান পা ভেঙে দেয়। মাথা, গলা, কাঁধ ও বুকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি লুটিয়ে পড়েন। নির্জন স্থানে হামলা করে সন্ত্রাসীরা গোপালের নেতৃত্বে তাকে মৃত ভেবে চলে যায়। এলাকার লোকজন বাড়ি আসার পথে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করিয়ে তার ভাতিজা সাগর সেনকে খবর দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার তাকে প্রথমে সিলেটে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করতে চাইলে জেলার কর্তব্যরত সাংবাদিকরা সুনামগঞ্জে রেখেই চিকিৎসার অনুরোধ জানালে সুনামগঞ্জেই তার চিকিৎসা চলছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সাংবাদিক জয়ন্ত সেন শঙ্কামুক্ত নন।
শাল্লা থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক জয়ন্ত আমাকে মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি ফোনে অবগত করেছিলেন। আমি দুষ্কৃতিকারীদের আমার অফিসার দিয়ে তাকে বিরক্ত না করার জন্য জানিয়ে দিয়েছি। এরপরও তার ওপর এই আক্রমণ মেনে নেওয়া যায়না। আমরা এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব।