ওসমানীনগরে মোকাব্বির খানকে নিয়ে অনুষ্ঠান করায় চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা বিএনপির

13

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা ;
সিলেট-২ আসনের গণফোরামের মনোনিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের সমাবেশে সভাপত্বি করায় ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমরান রব্বানীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ^নাথ) আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানকে প্রধান অতিথি করে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী। তবে এই সভায় ইমরান রব্বানী সভাপতিত্ব করায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- ইমরান রব্বানীর উদ্যোগে তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্য্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তথা গণফোরাম থেকে বহিস্কৃত মোকাব্বির খানকে নিয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। এখানে ইমরান রব্বানী কৌশলী ভূমিকায় থেকে ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে সভার আয়োজন করেছেন। উপজেলার মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন থাকলেও অন্য কোনো ইউনিয়ন পরিসদে মোকাব্বির খানকে নিয়ে এভাবে সমাবেশ করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। মোকাব্বির খানের এই সভার আয়োজক হিসেবে ইমরান রব্বানীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকসহ সুধীজনকে দাওয়াতও করা হয়।
এবিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী বলেন, মোকাব্বির খান বিএনপির সাথে প্রতারণা করেছেন তাই আমিও সাংগঠনিক অবস্থান থেকে মোকাব্বির খানের বিরোধী। বুধবার তিনি হঠাৎ করে আমার ইউনিয় অফিসে এসেছিলেন। সেখানে ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে তাকে নিয়ে সুধী সমাবেশ করা হয়। এতে সর্বদলীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে ওই সভায় সভাপতিত্ব করেছি।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ মো: ইয়াহইয়া বলেন, মোকাব্বির খান বিএনপির সাথে বেঈমানী করেছেন তাই ওসমানীনগর বিএনপি তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন। এমতাবস্থায় দলীয় পদ-পদবি ব্যবহারকারী কোনো নেতা যদি তাকে সভা-সমাবশের আয়োজন করেন তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার রয়েছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, মোকাব্বির খান বিএনপির নাম বিক্রি করে এমপি হয়ে এখন বিএনপির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সিলেট বিএনপির কাছে তিনি এখন মীর্জাফরে পরিণত হয়েছেন। চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী মোকাব্বির খানকে নিয়ে সমাবেশ করায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দ্রুত এটি কার্যকর করার মাধ্যমে সবাইকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইলিয়াস পতœী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, বিএনপির কোনো নেতা মোকাব্বিরের সাথে লিঁয়াজো করলে কিংবা তাকে নিয়ে কোনো কর্মসুচি পালন করলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট জেলা বিএনপিকে বলে দেয়া হয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরান রব্বানীর বিষয়েও জেলা বিএনপি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।