কাজিরবাজার ডেস্ক :
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে দৃঢ়কণ্ঠে বলেছেন, ব্রেক্সিট চূড়ান্ত করতেই তিনি লেবার পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অন্যথায় এটা আমাদের হাত থেকে ফসকে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে হবে। শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে টেরেসা মে বলেন, একটি চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়া অথবা কখনও বের হয়ে না যাওয়া- এ দুটির যেকোন একটিকে আমাদের বেছে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা তিনবার ব্রিটিশ এমপিরা প্রত্যাখ্যান করার পর তিনি লেবার পার্টির সাহায্য চান। লেবার পার্টির সাহায্য চাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন কনজারভেটিভ পার্টির কিছু নেতা। দল দুটির মধ্যে তিনদিন চলা বৈঠক শুক্রবার কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, প্রতিপক্ষ চূড়ান্তভাবে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। সরকারের অবস্থানে বড় ধরনের কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে যে কোন প্রকার সমঝোতাই হোক না কেন গণভোট দাবিতে তার দলের এমপিদের ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন লেবার নেতা করবিন। লেবার পার্টির ৮০ নেতার স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে বলা হয়, সমঝোতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া উচিত গণভোট। বিবৃতিতে টেরেসা মে বলেন, গতবছর ইইউর সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি হওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করতে তিনি তার দল এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে তাদের সমর্থনকারী ডিইউপিকে প্রভাবিত করতে ক্ষমতার মধ্যে সব চেষ্টাই করেছেন। এখন তাকে নতুন কৌশল নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাউস অব কমন্সের সহায়তা ছাড়া অন্য কোন উপায় আমাদের নেই। গণভোটের ফল নিয়ে শুধু দলকেই মোকাবেলা করতে হয়নি, জনগণের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা আমাকে বলেন, যখন জাতীয় স্বার্থের বিষয় আসে, তখন তাদের রাজনীতিকরা এক সঙ্গে কাজ করুক, এটা প্রত্যাশা করে তারা।’ টেরেসা মে বলেন, যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপিকে ব্রেক্সিট চুক্তি সমর্থন করতে হবে। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এটাই একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, ‘চুক্তি সমর্থন করা যত দেরি হবে, ব্রিটেন কখনও ইইউ ত্যাগ করবে না সে ঝুঁকি তত বাড়বে। আগামী ১২ এপ্রিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার কথা রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হাউস অব কমন্সে প্রত্যাহার চুক্তি অনুমোদন হয়নি। ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিয়ানে এ্যাবোট বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে প্রোগ্রামে বলেন, সরল বিশ্বাসে লেবার পার্টি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা চালিয়ে যেতে চায়। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ঘোষণা পরিবর্তন নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির দাবির বিষয়ে সরকার কিছুই না করায় উদ্বেগ রয়েছে।