সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের আয়োজনে গণহত্যা দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস ও বিশ্বনাট্য দিবস উদ্যাপনের তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ২৫ মার্চ সোমবার প্রথমদিনের আয়োজনে সিলেটের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় ছিল স্বাধীন বাংলা, মুক্তির গান ও নাটকের মঞ্চায়ন। সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে বিকাল ৪টায় শুরু হয় প্রথমদিনের আয়োজন। কবিতা, গান, নৃত্য আর পথনাটকের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে বক্তারা বলেন, ২৫ মার্চ ছিল বাঙালি জাতির জীবনে এক অন্ধকার রাত। বর্বর পাকিস্তানীরা এক রাতে অগণিত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঐক্যবদ্ধ করেন, তার নির্দেশে বীর বাঙালি লড়াই করে রক্ত দিয়ে এ দেশকে স্বাধীন করে। বক্তারা বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনকে নবপ্রজন্মের মাঝে সঠিকভাবে ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানিয়ে নবপ্রজন্মকে আগামীদিনের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানমঞ্চে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্যব্যক্তিত্ব ভবতোষ রায় বর্মণ, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও স্বাধীন বাংলা সঙ্গীত দলের সদস্য শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস এবং সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠক এনামুল মুনীর, খোয়াজ রহিম সবুজসহ বিভিন্ন নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। শহিদমিনার প্রাঙ্গনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা চলাকালীন নানান বয়সের মানুষের উপস্থিতি আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তুলে। রাত ৯টা ১মিনিটে গণহত্যা দিবস স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি