জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত ১৮ মার্চ সোমবার অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা কবির আহমদের আহ্বানে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাতে (২০ মার্চ) স্থানীয় দরবস্ত বাজারে বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার ৪৫টি সেন্টারের মধ্যে ৪৩ সেন্টারে চশমা প্রতীক নিয়ে মাওলানা কবির আহমদ ২৬৫০ ভোট নিয়ে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও বাকি দুই সেন্টারের ফলাফল প্রকাশ না করে এবং চশমা প্রতীকের এজেন্টদের রেজাল্টশীট না দিয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকের বশির আহমকে বিজয়ী ঘোষনা করে উপজেলা নির্বাচন কমিশন। অথচ এই দুই সেন্টার ব্যতীত মাইক প্রতীকের প্রার্থী বশির আহমদ ৩ হাজার ভোট পিছিয়ে থাকার পরও তাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এতে করে জৈন্তাপুর উপজেলায় মাওলানা কবির আহমদের সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হ। বক্তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বক্তারা বলেন, জৈন্তাপুরের মানুষ শান্তি প্রিয়। তারা শান্তিতে বসবাস করতে বিশ্বাস করে। কিন্তু যেভাবে একজন তরুণ আলীমের বিজয়কে রাত্রের আঁধারে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বক্তারা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগেই পূণরায় ভাইস চেয়ারম্যানপদে ভোট গণনার দাবী করেন। বক্তারা বলেন, ১৮ মার্চের ফলাফল স্থগিত করে আগামী ২৪ মার্চ রোববারের মধ্যে পুনরায় ভোট গণনা করতে হবে। অন্যথায় ভোট চোর বশিরকে উপজেলা পরিষদের বাহিরে রাখতে যত ধরনের আন্দোলন কর্মসূচী দেওয়া প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করবে।
মাওলানা লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও হাফিজ মাওলানা মাসউদ আজহারের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়্যারম্যান প্রার্থী মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা কবির আহমদ খানঁ, যুবনেতা নাসির উদ্দিন, দেলোয়ার হোসাইন আজাদ, হাফিজ শাহিদ হাতিমী, মাওলানা ইমরান হুসাইন চৌধুরী, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, উবায়দুল্লাহ দরবস্তী, আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, প্রমুখ।