নাট্যমঞ্চ সিলেটের আয়োজনে ২ দিনব্যাপী নাটকের প্রদর্শনীর গতকাল ছিলো প্রথম দিন। কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটি দেখার জন্য ভীড় ছিলো নাট্যমোদী দর্শকদের। সন্ধ্যা ৭.১০ মিনিটে হলভর্তি দর্শকের উপস্থিতিতে পিনপতন নিরবতায় অভিনয় শিল্পী জ্যোতি সিনহার অনবদ্য অভিনয়ে মুগ্ধ হন সিলেটের নাট্যমোদী দর্শক। বিখ্যাত নাট্যকার স্যামুয়েল বেখেটের রচনায় নাটকটির বাংলা অনুবাদ করেছেন কবীর চৌধুরী ও শাহীন কবির। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিষ সিনহা এবং পরিবেশনায় হৃৎমঞ্চ ও মনিপুরী থিয়েটার। ফরাসী দূতাবাস ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় নির্মিত এই নাটকটিকে নিয়ে ভিন্নরকম নিরীক্ষার চেষ্টা করেছেন নির্দেশক শুভাশিষ সিনহা।
হ্যাপী ডেজ নাটকে উইনি নামের এক নারীর নিঃসঙ্গ কিন্তু স্বপ্নময় জীবনের দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপ দেখা যাবে। কবরের ঢিবিতে চাপা পড়া একলা এক নারী উইনি। পুরো নাটকে উইনী তার স্বামী উইলির সাথে অর্নগল কথা বলে যায়। নস্টালজিয়া, অভিযোগ, আকাঙ্খা সবকিছু ছাপিয়ে তার শরীর মনের তীব্র প্রেমাকুতি ফুটে উঠে। স্যামুয়েল বেখটের মূল নাটকে স্বামী উইলির উপস্থিতি থাকলেও বাংলা অনুবাদে তাকে অনুপস্থিত রাখা হয়েছে। উইনি তার স্বামীকে নিয়ে এক আনন্দময় দিনের স্বপ্ন দেখে, তার নিজের মতো করে সাজায়, যা কোনদিনই তার জীবনে ঘটে না।
নাটকটিতে একক চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। এটি তার দ্বিতীয় একক নাটক। এর পূর্বে মনিপুরী থিয়েটারের কহে বীরাঙ্গনা নাটকে একক চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যোতি। নাটক শেষে নাটকের নির্দেশক ও নাট্যদলকে ফুল, শুভেচ্ছা স্মারক ও উত্তরীয় তুলে দেন সিলেট জেলা পরিষদেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিনহা, সিলেট মেট্রোপলিটান পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার, কামরুল আমিন, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন সিলেটের সেকেন্ড সেক্রেটারী গিরীশ পূজারী ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশপাক আহমদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নাট্যমঞ্চ সিলেটের সভাপতি রহত কান্তি গুপ্ত।
নাট্যমঞ্চ সিলেটের এই আয়োজন কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে আজ শনিবার দ্বিতীয় ও শেষ দিন সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী মঞ্চস্থ হবে। বিকাল ৫টা থেকে হল কাউন্টারে প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে। সকল নাট্যমোদী দর্শককে এই নাটকটি উপভোগ করার জন্য নাট্যমঞ্চ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত এক বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি