ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে ২৭ দিনের শিশু কন্যাকে বালতির পানিতে ডুবিয়ে হত্যার করার কথা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে মা। নিজ শিশু কন্যাকে হত্যার দায়ে শিশুটির মা ইয়াসমিন বেগমকে আটক করে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার রাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দিঘলী দক্ষিণ চাকলপাড়া গ্রামে আসকর আলীর পুত্র গাড়ি চালক আবদুস শহিদের ২৭দিনের কন্যা সন্তানের লাশ রান্না ঘরের একটি পানির বালতিতে পাওয়া যায়। শিশু কন্যার পিতা বাড়িতে এসে বিছানায় সন্তানকে না দেখে তার স্ত্রীকে শিশু সন্তানের কথা জিজ্ঞাসা করে। এ সময় তার স্ত্রী কোন জবাব না দিলে রান্না ঘরে গিয়ে বালতির পানিতে শিশু কন্যাকে ডুবন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয় সে। খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনান্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে মর্গে পাঠায়। সন্দেহভাজন হিসেবে শিশু কন্যার মা ইয়াসমিন বেগম, চাচী চামেলী বেগম, চাচা সুলতান মিয়া ও দাদা আসক আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মা তার কন্যাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় শিশু কন্যার পিতা আবদুস শহিদ বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১২) দায়ের করেন। বুধবার শিশুকন্যার মা ইয়াসমিন বেগমকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরন করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতেও নিজ শিশুকন্যাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের ধারনা স্বামী-স্ত্রীর কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।