কে.এম.লিমন, গোয়াইনঘাট থেকে :
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন তামাবিল স্থলবন্দর চালু হওয়াতে বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশ উপকৃত হবে। এই অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি লোকজনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। একই সাথে দারিদ্র্যতাও কমবে। স্থল বন্দরের মাধ্যমে প্রত্যেক দেশের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। আর ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলে ওই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে। গত ৯ বছরে দেখেছি, আমাদের দেশের মানুষ বাঁধা না পেলে নিজের জোরেই এগিয়ে যায়। সকলেই করিৎকর্মা। এখন আয় বেড়েছে মানুষের প্রচেষ্টায়। ২০৪১ সালে সত্যিই আমরা সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতে পারবো। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার কিছু পাওয়ার দরকার নেই। তিনি এখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেত্রী। শেখ হাসিনার মতো জনসেবক বাংলাদেশে আর একজনও নেই। তার জনসেবা দেখে আমরা উৎসাহিত হয়ে কাজ করি।
শুক্রবার দুপুরে প্রায় ২৩ দশমিক ৭২ একর ভূমির মধ্যে ৬৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিলেট তামাবিল পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ৯ বছরে ১১টা স্থলবন্দর চালু করেছেন। আরো দু’টি চালু করা হবে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমাদের আয় হয়েছে ১শ’ ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আমরা কারো কাছে হাত পাততে চাই না। নৌ মন্ত্রী দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কবির খান’র পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, নৌ পরিবহন সচিব আব্দুস সামাদ, ভারতের মেঘালয় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ডলি খংলা, গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম, তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্র“পের সভাপতি লিয়াকত আলী, পূর্ব জাফলং ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান লেবু।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার, পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, ৪৮ বিজিবি’র সিও তোফায়েল আমেদ, সিলেটের শুল্ক কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিকরুর রেজা খানম, নৌ সচিবের পিএস মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, ইউএনও গোয়াইনঘাট বিশ^জিত কুমার পালসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং কয়লা-পাথর আমদানি রফতানীকারক সমিতির নেতৃবৃন্দ।