ওবায়দুল কাদেরের অবস্থার উন্নতি

56

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। তার শারীরিক সব প্যারামিটার ভালর দিকে। কিডনি ও রক্তের সংক্রমণও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এ সময় সেখানে ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও নিজাম হাজারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহে আলম মুরাদ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার মাউন্ট এলিজাবেথের চিকিৎসকদের সঙ্গে বসে সেতুমন্ত্রীর সর্বশেষ অবস্থা জানার পর সেখানে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী বলেন, সব প্যারামিটার্সগুলো দিন দিন ভালর দিকেই যাচ্ছে। তার কিডনি এখন খুবই স্টেবল আছে। তার ইনফেকশনের রেট এখন অনেক কমে গেছে। ব্লাড কাউন্ট যেটা ২৬ হাজার ছিল সেটা এখন ১২ হাজারে চলে আসছে। ইউরিন আউটপুটও ভাল আছে। হার্টের অবস্থা, প্রেসার এবং হার্টবিট এখন খুব ভাল আছে। তার শরীরের সঙ্গে যে ‘আর্টিফিশিয়াল ডিভাইসগুলো’ লাগানো রয়েছে সেগুলো আগামী ২/১ দিনের মধ্যে খুলে ফেলার কথা ভাবছেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা। হয় তো কালকে কিছু খুলে ফেলবে। আগামী শুক্রবার বাকিগুলো খুলে ফেলবে বলে জানান অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী।
এদিকে বুধবার সকালে ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, মাউন্ট এলিজাবেথের ডাক্তারদের মতামত তারা ডাঃ আবু নাসের রিজভীর কাছ থেকে নিয়মিতভাবে জানতে পারছেন। কাদের ভাইয়ের সব অর্গান কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে কাদের ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
ডাঃ রিজভী জানান, গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই সেতুমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ ফিলিপ কোহর নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের ওই মেডিক্যাল বোর্ড ওবায়দুল কাদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বুধবার দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের মতামত জানান।