স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে ইয়াবা বিক্রি, মানবপাচার ও শিশুদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসআই রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার ভুয়া স্ত্রী রিমা বেগমকে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক মুস্তাইন বিল্লাহ তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে রিমান্ডে থাকাকালিন সময়ে মানবপাচার সংক্রান্ত কোন তথ্য তাদের কাছ থেকে পায়নি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, ৩ দিনের রিমান্ড শেষে রোকন উদ্দিন ও রিমা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে রবিবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ২ শিশু সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি তাদের কাছ থেকে। এই ২ শিশুকে বাসায় কাজ দেয়ার নাম করে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে একজনকে তার মা ও অন্যজনকে তার খালা বাসায় কাজ করার জন্য রোকন ও রিমার কাছে দেন। এছাড়াও পুলিশ তাদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছে।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, র্যাবের দায়ের করা মাদক মামলায় মাদক ব্যবসার রহস্য উদঘাটনের জন্য এসআই রোকন উদ্দিন ও রিমা বেগমকে পুনরায় রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করবেন।
অপরদিকে র্যাবের এসআই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতোয়ালি থানায় রোকন উদ্দিন ও রিমাকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মাদক ব্যবসার সার্বিক তথ্য জানার জন্য এই মামলা তাদেরকে রিমান্ডে নেয়া হবে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম।