সমাজের বাতিঘর হিসেবে আলো ছড়িয়েছেন মিশু – নাট্যজন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু

12
সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সদ্য প্রয়াত সভাপতি মিসফাক আহমদ মিশুর স্মরণ সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।

বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, মানবিক মূল্যবোধ যেখানে উপেক্ষিত, সংস্কৃতি যেখানে সংকীর্ণতায় পরাকাষ্ঠায়, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ যেখানটায় অসহায় মিশফাক আহমদ মিশু সেখানেই অনন্য যোগ্যতায়। সমাজের বাতিঘর হিসেবে আলো ছড়িয়েছেন কেবল।
“হৃদয়ে বহমান” প্রতিপাদ্যে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সদ্য প্রয়াত সভাপতি মিসফাক আহমদ মিশুর স্মরণ সভায় শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কথাগুলো বলেন নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তিনি আরো বলেন, এ সমাজে একজন মানবিক মিশফাক আহমদ মিশুর বড়ো বেশি প্রয়োজন। বিকেল ৪টা ১ মিনিটে শোকার্থ শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বাঁশির সুরে স্মরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। রানা কুমার সিনহার শোক সঙ্গীত পরিবেশনের পর মিশফাক আহমদ চৌধুরী শিশু স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠ করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী অধ্যাপক শামীমা চৌধুরী। দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর শ্রদ্ধার্ঘ তুলে দেওয়া হয় তাঁর একমাত্র সন্তান রায়াত রাওজাত চৌধুরীর হাতে। স্মরণ আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় শোক ও স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিনহা, সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান, ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জওশোয়াল, জেলা পরিষদ সিলেটের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দীন খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজনীতিবিদ এডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য, রাজনেতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা জাসদের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনৈতিক লোকমান আহমদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সিলেট জেলা সভাপতি কমরেড সিকান্দর আলী, মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ সর্ব্বানী অর্জ্জুন, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট ই ইউ শহিদুল ইসলাম শাহীন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম সেলিম, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, চুরাশিয়ান ব্যাচের সদস্য শাখাওয়াত আলী শাহী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, চিত্রশিল্পী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শামসুল বাসিত শেরো।
স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হ্যারল্ড রশিদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদিক আব্দুর রশিদ রেনু, জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, রেড ক্রিসেন্ট সিলেট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক ইকরামুল কবির ইকু, সিলেট ক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, উইমেন্স চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, আমেরিকা প্রবাসি বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইশতিয়াক আহমদ রুপু, লেখক ও শিশু সংগঠন মাহবুবুজ্জামান চৌধুরী, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নিলাঞ্জনা যুঁই, সিলেট ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি ফরিদ আহমদ, সিলেট ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় সভাপতি শেখ আশরাফুল ইসলাম নাসির, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী ও সংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে মিশফাক আহমদ মিশুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন মোকাদ্দেস বাবুল, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন পরিষদ সিলেট, আনন্দলোক সিলেট, গীতবিতান বাংলাদেশ ও সম্মেলক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সিলেটের বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বাপ্পী ত্রিবেদির ভাবনা এ প্রয়োগে ডকুমেন্টরি প্রদর্শিত হয়।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল দাস। সিলেটের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাসের গানের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় স্মরণ অনুষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তি