মাহবুব আহমদ খান বিয়ানীবাজার থেকে :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হ্যাটট্রিক বিজয়ের পর দলীয় নেতাকর্মীর সাথে প্রথমবারের মত মতবিনিময় করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। বুধবার সকালে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সভায় আ’লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজি আব্দুল হাছিব মনিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নাহিদ এমপি বলেন, ‘আমি মন্ত্রী না হওয়ায় আপনারা মনোক্ষুন্ন হওয়ার কারণ নেই। একাধারে ১০ বছর মন্ত্রী ছিলাম। এখন নতুনদের স্থান দিতে সরতে হয়েছে। আগামীতে এ এলাকা থেকে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলুন, আমার মতো তাঁরাও একদিন মন্ত্রী হবে। তিনি সবাইকে সে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।’
বিগত নির্বাচনে যারা নৌকার বিরোধীতা করেছেন দল তাদের প্রতি ব্যবস্থা নিবে জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেন, ‘আমার সাথে কারো রাজনৈতিক প্রতিদ্বদ্বিতা থাকতে পারে। তাই বলে দলের ক্ষতি করা মোটেও ঠিক নয়। এতে নিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশিই থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই নৌকার বিজয়ে ভূমিকা রেখেছেন বলেই বিজয়ী হয়েছি এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ কিন্তু কতিপয় নেতা দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কাজ করেছে তা সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নাম উল্লেখ করে রিপোর্ট দিয়েছে। আশা করি দলীয় সভানেত্রী তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
চারবারের বিজয়ী সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ আরোও বলেন, দলের মধ্যে ছোটখাটো সমস্যা রয়েছে। তা কাটিয়ে উঠতে সহসাই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রার্থী নির্ধারণ করতে ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা এসেছে। আশা করি উপজেলা আ’লীগ সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রার্থী বাছাই করবেন। সাবেক মন্ত্রী বলেন, আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। এলাকার উন্নয়নে সাধ্যানুযায়ী কাজ করবো।
তিনি বলেন, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যসহ নতুন শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাবেক মন্ত্রী এবং দলের সর্বোচ্চ ফোরামের একজন হিসেবে আমি শিক্ষামন্ত্রীকে সব রকমের সহযোগীতা দিতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা একসাথে কাজ করবো। নির্বাচনোত্তর কর্মী সভায় উপজেলা আ’লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং প্রত্যেক ইউনিয়ন আ’লীগের দায়িত্বশীল নেতারা বক্তব্য রাখেন।