ফাইনালে খুলনা

9

স্পোর্টস ডেস্ক :
আমিরের আগুনে বোলিংয়ে পুড়ল রাজশাহী রয়্যালস। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ার্স ম্যাচে রাজশাহীকে ২৭ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের দল খুলনা টাইগার্স। বিপিএলে এই প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠল খুলনা।
অন্যদিকে, রাজশাহী এই ম্যাচে হারলেও তাদের সামনে ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে রাজশাহী রয়্যালস ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এদিন খুলনার দেয়া ১৫৯ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩১ রান করে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী। দলের পক্ষে ৫০ বলে ১০টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৮০ রান করেন শোয়েব মালিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেন তাইজুল।
খুলনার বোলারদের মধ্যে পেসার মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৬টি উইকেট শিকার করেন। ১ ওভারে ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মিরাজ। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন শহীদুল। এছাড়া ফ্রাইলিঙ্ক শিকার করেন ১ উইকেট।
রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। পাওয়ারপ্লেতে তথা প্রথম ৬ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪ রান করে তারা। ৫ উইকেটের মধ্যে চারটিই নেন আমির। ১০ ওভার শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪১ রান।
দলীয় ৩৩ রানে পড়েছিল ষষ্ঠ উইকেট। এরপর উইকেটে লেগে থাকেন শোয়েব মালিক ও তাইজুল। দুজনে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। মালিক শুরুতে ধীরে এগোলেও ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর একের পর এক চার-ছক্কা মারতে থাকেন। তাতে খানি চিন্তার মধ্যে পড়ে যান মুশফিকরা।
১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে এই জুটি ভাঙেন আমির। ওভারের দ্বিতীয় বলে তাইজুলকে ফেরান তিনি। পঞ্চম বলে ফিরিয়ে দেন ‘ভয়ঙ্কর’ শোয়েব মালিককে। তাতে স্বস্তি ফেরে টাইগার্স শিবিরে। পরের ব্যাটসম্যানরা এসে তেমন কিছু করতে পারেননি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ কর খুলনা টাইগার্স। দলের পক্ষে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৭ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এছাড়া ৩২ করেন শামসুর রহমান। ১৬ বল ২১ করে রিটায়ার্ড হার্ট হন মুশফিকুর রহিম। ৫ বলে ১২ করে অপরাজিত থাকেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান। বাকি ১টি উইকেট শিকার করেন রবি বোপারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনা ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুইটি উইকেট হারায়। মোহাম্মদ ইরফানের করা ওভারের প্রথম বলে অলক কাপালির হাতে ক্যাচ হন মিরাজ। পঞ্চম বলে টপ এজ হয়ে রাব্বীর হাতে ধরা পড়েন রুশো।
ষষ্ঠ ওভারে শোয়েব মালিকের বলে বোল্ড হয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু বলটি নো হওয়ায় জীবন পান শান্ত। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৮ রানের পার্টনারশিপ করেন শান্ত ও শামসুর। ১৩তম ওভারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে রাসেলের হাতে ক্যাচ হন শামসুর। ১৯তম ওভারে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। পরে শান্ত ও নাজিবউল্লাহ ইনিংস শেষ করে আসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ২৭ রানে জয়ী খুলনা টাইগার্স।
খুলনা টাইগার্স ইনিংস: ১৫৮/৩ (২০ ওভার)
(শান্ত ৭৮, মিরাজ ৮, রুশো ০, শামসুর ৩২, মুশফিক ২১, নাজিবউল্লাহ ১২*; মোহাম্মদ ইরফান ২/১৩, আবু জায়েদ ০/২১, শোয়েব মালিক ০/২৩, আন্দ্রে রাসেল ০/৩৩, কামরুল ইসলাম ০/২০, তাইজুল ইসলাম ০/২২, রবি বোপারা ১/২৪)।
রাজশাহী রয়্যালস ইনিংস: ১৩১ (২০ ওভার)
(লিটন ২, আফিফ ১১, শোয়েব মালিক ৮০, অলক কাপালি ০, রবি বোপারা ১, আন্দ্রে রাসেল ০, ফরহাদ রেজা ৩, তাইজুল ১২, কামরুল ইসলাম ১১*, আবু জায়েদ ৭, মোহাম্মদ ইরফান ০; মোহাম্মদ আমির ৬/১৭, রব্বি ফ্রাইলিঙ্ক ১/২৯, শফিউল ০/৩৬, শহীদুল ১/১৫, আমিনুল ০/২৬, মিরাজ ২/৬)।
ম্যাচ সেরা: মোহাম্মদ আমির (খুলনা টাইগার্স)।