ষ্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মজুমদারী এলাকায় এক সাংবাদিকের রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে তরঙ্গ আবাসিক এলাকার ১/৫ নং বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো: রুহেল আহমেদ তালুকদার জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকায় ষ্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কাজ করতেন। নিহত রুহেল তালুকদার দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত নেপুর তালুকদারের পুত্র।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুহেল আহমেদ তালুকদার মজুমদারী তরঙ্গ এলাকায় ২/৩ মাস যাবৎ বাসা ভাড়া নিয়ে ২ স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন রুহেল তালুকদার তার ২য় স্ত্রীর বাড়ী ছাতকের নরসিংপুর গ্রামে দাওয়াত খেতে যান। তিনি বিকেলে মজমুদারীর বাসায় ফিরে আসেন। এ বাসা থেকে তিনি আর বের হননি। একই দিন তিনি ১ম স্ত্রী তার বাসা থেকে ৩ সন্তানসহ অন্যত্র চলে যান। রাতে রুহেল তালুকদার বাসায় থেকে ১ম স্ত্রীকে অনেক কাকুতি-মিনতি করেন তাকে ৪ মিনিটের জন্য সাক্ষাৎ করতে এতে স্ত্রী সময়মত যাননি। রাত সাড়ে ১১ টা থেকে সাড়ে ১২ টার মধ্যে ১ম স্ত্রী অনেক বিলম্বে রুহেল তালুকদারের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে দেখেন বাসার প্রধান ষ্টিলের দরজা বাহির থেকে তালা ছাড়া লাগানো অবস্থায় রয়েছে। দরজা খুলে স্ত্রী ঘরের ভেতর গিয়ে দেখেন রুহেল তালুকদারের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত লাশ খাটের উপর সিলিং ফ্যানে রয়েছে। তিনি সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে লোকজনের সহায়তায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে ভর্তি করেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহেল তালুকদারকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার এসআই (উপ-মহাপরিদর্শক) নির্মল হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। পরে রুহেল তালুকদারের লাশ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। গতকাল শনিবার ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। শনিবার বাদ আসর নয়াসড়ক জামে মসজিদে তার নামাজে জানাযা শেষে মানিকপীর গোরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়। তবে এ ঘটনায় মামলা বা গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
এয়ারপোর্ট থানার উপ-মহাপরিদর্শক এসআই নির্মল বলেন, ঘটনাটিকে সন্দেহ লক্ষ্য করার মতো। গতকাল শনিবার ভোরে তার বাসায় গিয়ে রুহেলের ব্যবহৃত টাচ মোবাইলটি তিনি উদ্ধার করে বিভিন্ন ফুটেজগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন বলে তিনি জানান।