দেশের রাজনীতিতে আবারও পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার পরিবেশ তৈরি হতে শুরু করেছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামী ২৮ জানুয়ারি জাতীয় সংলাপ আহ্বান করেছে। ঐক্যফ্রন্ট বলছে, নির্বাচন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ করতে ডাকা এই সংলাপে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সব রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রীও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নেয়, তাদের সঙ্গেই নতুন করে সংলাপে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, আলোচনার বিষয়বস্তু জানা গেলে বিবেচনা করবে তাঁর দল। ওদিকে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত রবিবার আদালতে প্রণিধানযোগ্য একটি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘শুধু সংসদেই না, সংসদের বাইরেও বিরোধী দল হয়।’
সরকারপ্রধানের আলোচনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় করার উদ্যোগের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের উদ্যোগ দেশের নির্বাচন-পরবর্তী রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া কারাগারে যে কথা বলেছেন, সেখানেও সুস্থ রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত আছে। সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসতে না পারলেও বিএনপি যদি সত্যিকারের বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকতে পারে, সেটি দেশের গণতন্ত্রের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে। আমরা আশা করব, পরমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক রাজনীতির সূচনা করবে।