স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর বাদাঘাটে নবনির্মিত নতুন কারাগারে বন্দি স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বন্দিদের নতুন কারাগারে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। বন্দি স্থানান্তর চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। বন্দি স্থানান্তরে শুক্র ও শনি ২দিন লাগতে পারে বলে জানানো হলেও প্রথম দিনেই এ কাজ সম্পন্ন হয়। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আব্দুল আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুরাতন কারগারে থাকা ২৩০০ বন্দিকে নতুন কারাগারে নেয়া হয়েছে। বন্দিদের মধ্যে কয়েদি ৭৮৮ জন ও হাজতি বন্দি ১৫২২ জন। এদের মধ্যে ৫৬ জন মহিলা বন্দিও রয়েছেন। তিনি বন্দি স্থানান্তর সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সরেজমিন দেখা গেছে, বন্দি স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল থেকে নগরীর পুরনো কারাগারের সামনে থেকে শহরতলীর বাধাঘাটে নবনির্মিত কারাগার পর্যন্ত রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ৭/৮টি প্রিজন ভ্যানে করে বন্দিদের পুলিশি পাহারায় স্থানান্তর করা হয়। বন্দিদের নিয়ে চলাচল করা সড়কে যান চলাচলও সীমিত করা হয়। বন্দি স্থানান্তরের মাধ্যমে প্রায় ২২৯ বছর পর নতুন ঠিকানায় যাত্রা শুরু করলো সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের পুরাতন থেকে নতুন ভবনে বন্দি স্থানান্তরের কারণে ৩দিন বন্দিদের সাথে স্বজনরা সাক্ষাত করতে পারবেন না। এ নিয়ে নোটিশ জারি করে কারা কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল রবিবার ১৩ জানুয়ারী থেকে আবারো বন্দিদের সাথে দেখা করতে পারবেন স্বজনরা।
শহরতলীর বাদাঘাটে নতুন এ কারাগার নির্মাণের প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) পাস হয়েছিল ২০১০ সালে। এটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল সিলেট গণপূর্ত বিভাগ।
মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা বলেন, বন্দি স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুসারে পুলিশ মোতায়েনের ফলে কঠোর নিরাপত্তায় বন্দিদের নতুন কারাগারে নেয়া হয়।