স্টাফ রিপোর্টার :
প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের অসুস্থতার কারণে সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৭ ফেব্র“য়ারী নির্ধারণ করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল।
আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকে সিলেটের আদালত চত্বরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়। দুপুরে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় মামলার কারাবন্দি জঙ্গি আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে থাকা সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গউসসহ অন্য আসামিরা হাজিরা দেন।
মামলার অন্যতম আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিত থাকায় আগামী ৭ ফেব্র“য়ারী মামলা পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন সিলেটের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম।
সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট কিশোর কুমার কর বলেন, আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ সোমবার থাকলেও লুৎফুজ্জামান বাবরের অনুপস্থিতির কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আদালত আগামী ৭ ফেব্র“য়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে ঈদ-পরবর্তী এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভায় জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালালে শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দীক আলী নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৭০ নেতাকর্মী। এ ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারি মামলা হয়। মামলার তদন্তে কাজ করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় সম্পূরক চার্জশিট দেন সিআইডি সিলেট অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল। চার্জশিটে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জিকে গউছ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।