কাজিরবাজার ডেস্ক :
২০১৮ সালে মোট ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৯৪২টি। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হন ১৮২ জন নারী ও শিশু। আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৬৩ জনকে। বছরটিতে যৌন নির্যাতনের শিকার হন ১৪৬ জন। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার ২১২ জনের মধ্যে শুধু এ কারণে হত্যা করা হয় ১০২ জনকে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে গত বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, বছরটিতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ২৮১ জন। ১৯৩টি বাল্যবিবাহের ঘটনার মধ্যে ৫২টি সম্পন্ন হয় এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা হয় ১৪১টি।
মহিলা পরিষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানাচ্ছে, বছরটিতে উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মোট ৩ হাজার ৯১৮টি নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৩০৫ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। মোট ৪৮৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়। হত্যার চেষ্টা করা হয় ৩৯ জনকে। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার ৮৭ জনের মধ্যে হত্যা করা হয় ৫৮ জনকে।
বছরটিতে নির্যাতনের কারণে চারজন গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেন। উত্ত্যক্তের শিকার ১৭১ জনের মধ্যে ১৪ জন আত্মহত্যা করেন। ৩৭৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়, জানায় মহিলা পরিষদ।
গত বছর অন্যান্য নির্যাতনের মধ্যে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হওয়া ১৯ জনের মধ্যে মারা যান ৩ জন। বছরটিতে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১৪৫টি। পাচারের শিকার হন ৪১ জন নারী ও শিশু। তাদের মধ্যে যৌনপল্লিতে বিক্রি করা হয় ১৫ জনকে।