কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপি-জামায়াতএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২২টি আসনে অংশ নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপির নির্বাচন পরবর্তী জরুরি বৈঠকে জামায়াতের মনোনীত কোনও প্রার্থীই অংশ নেননি। এদিন সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ বৈঠকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি’র প্রার্থীরা অংশ নিলেও জামায়াতের কোনও প্রতিনিধি অংশ নেননি। এ বিষয়ে দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে ফোন করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
২৯৮টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয় বিএনপি। বাকি দুটি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি’র প্রধান অলি আহমেদ নিজের দলের প্রতীক ‘ছাতা’ এবং কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর হামিদুর রহমান আযাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার বৈঠকের শুরুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে প্রার্থীদের কাছে তাদের নিজ এলাকার ভোটের পরিস্থিতি এবং পরবর্তী করণীয় কী হতে পারে, তা বিস্তারিতভাবে জানাতে প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকে ১৭৪ জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হারুনুর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, মোশারররফ হোসেন ও জাহিদুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, জরুরি এ বৈঠকে অংশ নেন বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধরী, শাহজাহান ওমর, মিজানুর রহমান মিনু, আমিনুল হক, আবদুস সালাম, শাহজাহান মিয়া, ভিপি জয়নাল আবেদীন, হারুনুর রশীদ, আসাদুল হাবিব দুলু, আনোয়ারুল আজীম, শামা ওবায়েদ, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, গৌতম চক্রবর্তী, আলমগীর কবির, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সুলতান মাহমুদ বাবু, রফিকুল ইসলাম হিলালী, শরীফুল আলম, জালাল উদ্দিন, আজিজুল বারী হেলাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জিএম সিরাজ, সাখাওয়াত হোসেন বকুল, জহির উদ্দিন স্বপন, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, জাহিদুর রহমান, অরুণ মেহেদি, সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিকী, নবী উল্লাহ নবী, মোরশেদ মিল্টন, পারভেজ আরেফীন সিদ্দিকী, রুমানা মাহমুদ, আমিনুল ইসলাম আলিম, সেলিম রেজা হাবিব, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, সৈয়দ ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, জি কে গউস, আবু তাহের তালকুদার, কায়সার কামাল, আনোয়ারুল হক, তাহসিনা রুশদির লুনা, লুতফর রহমান কাজল, মুন্সি রফিকুল আলম, খন্দকার মুক্তাদির, মোশাররফ হোসেন, শফি আহমেদ চৌধুরী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান, শাহ রিয়াজুল ইসলাম, একরামুজ্জামান, আবু সুফিয়ান, মিল্টন বৌদ্ধ, আনিসুর রহমান খোকন, শাহ আবু জাফর, খোন্দকার আখতার হামিদ ডাবলু, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. আলী সরকার, তাজভীরুল ইসলাম, টিএস আইয়ুব, সাইফুর রহমান রানা, মো. হানিফ, আনোয়ারুল ইসলাম, আলী নেওয়াজ খৈয়াম, এমদাদুল হক ভরসা, সাহাদাত হোসেন, মাসুদা মোমিন, সালমা আলম, রফিকুল ইসলাম, সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, সালাহ উদ্দিন সরকার, কাজী নাজমুল হোসেন, শাহ শহীদ সারোয়ার, আবদুল খালেক, মজিবুল হক, মো. ইউনুস, ফাহিম চৌধুরী, শামীম আরা বেগম, আহসান উল্লাহ হাসান, নসরুল হক সাবু, ওয়ারেস আলী মামুন, আজহারুল ইসলাম মান্নান, লায়ন হারুনুর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, মনি স্বপন দেওয়ান, কনকচাঁপা, সাচিং প্রু, ফরহাদ হোসেন আজাদ, ফজলুর রহমান, আবু ওহাব আখন্দ, মাহমুদুল হক রুবেল প্রমুখ।
আরও ছিলেন জেএসডি’র আসম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ইকবাল সিদ্দিকী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আমসা আমিন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।