বিভিন্ন অপরাধে দুই দিনে ১১ জন গ্রেফতার, মাদক উদ্ধার

19

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট নগরীর ও জেলায় গত দুই দিনে পৃথক অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে মাদক উদ্ধারসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
আম্বরখানাঃ নগরীর আম্বরখানায় কিডন্যাপারদের মারধরে যুবক আবুল হাসানের (২৯) নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কাজীটুলা মক্তবগলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ। গ্রেফতারকৃত আসামী ১৯ বছর বয়সী রায়হান আহমদ কাজীটুলার উবায়দুল হকের ছেলে।
উপকমিশনার আজবাহার আলী বলেন, ওই আসমীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামী রায়হান আহমদ (১৯) বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে ফৌ. কা. বি. ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং আরো সহযোগী সকল আসামীর নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাপর পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান ও মামলা তদন্ত অব্যাহত আছে।
এর আগে গত ঈদুল আযহার পরের দিন ১৮ জুন মঙ্গলবার রাতে মুক্তিপণের জন্য আম্বরখানায় কিডন্যাপারদের হাতে বেধড়ক মারধরের শিকার হনসিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর এলাকার পূর্বভাগ কলাশহর গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলীর ছেলে আবুল হাসান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১টার দিকে সিলেটের বেসরকারি একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সিলেট মহানগরের আম্বরখানার এলাকার একটি ৫ তলা ভবনের ছাদে আবুল হাসান ও তার চাচাতো ভাইকে মারধরের ঘটনা ঘটে। কিডন্যাপাররা মুক্তিপণ না পেয়ে হাসানকে ছাদ থেকে ফেলে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠে।
আত্মীয়স্বজনরা জানান, আবুল হাসান যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন। ভিসা পেলে কয়েক দিনের মধ্যেই চলে যেতেন স্বপ্নের ইউরোপে। কিন্তু তিনি কখনো ভাবেননি- স্বপ্ন তো ছাই হবেই, একটি চক্রের হাতে চিরদিনের জন্য নিভেও যাবে তার জীবনপ্রদীপ। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপরই আসামীদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমাঃ দক্ষিণ সুরমা এলাকা থেকে চোরাই গাড়িসহ দুই চোরাকারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলীস্থ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর সংলগ্ন ফল মার্কেটের সামন থেকে তাদের আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার মৃত শামসুল ইসলামের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৩) ও সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার এবাদ উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (২১)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কদমতলীস্থ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর সংলগ্ন ফল মার্কেটের সামন থেকে সাদা প্রাইভেটকারটি আটক করা হলে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানার মামলা দয়েরের মাধ্যমে পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্ত মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এদিকে, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলী এলাকার হোটেল সাগর রেষ্টহাউজ থেকে ২ নারীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, লামাকাজি এলাকার সেলিম মিয়া মেয়ে মোছা রোকসেনা আক্তার (২৪) ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার শাহ আলমের মেয়ে মোছা: রুপা বেগম (২৫)। তাদের বিরুদ্ধে এস.এম.পি এ্যাক্ট-৭৭ ধারা মোতাবেক প্রসিকিউশন দাখিলপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্ত মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
সালুটিকরঃ সিলেটে ডিবি পুলিশের অভিযানে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার হয়েছেন দুই যুবক। রবিবার রাতে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের সালুটিকর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জহির উদ্দিন (২৫) ও ফয়সাল আমিন (১৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জঃ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল সহ আল আমীন (২৩) নামের এক যুবকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। সে ঢালারপাড় গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৪৬ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
রবিবার ২৩ জুন রাত সোয়া ১২টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই সুরঞ্জিত তালুকদার, এসআই শরিফুল ইসলাম ও এএসআই কানন কুমার দাশসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় ভোলাগঞ্জ-দয়ারবাজার সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেল নিয়ে আল আমিন মাদক পাচার করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালাই। এসময় দয়ারবাজার রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল আটক করি। পরে মোটরসাইকেলে থাকা আল আমিনকে তল্লাশী করে ৪৬ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। আটককৃত মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ৪৬ হাজার টাকা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ জানান, ভারতীয় ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেলসহ আল আমীন নামের একজন আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর চুরি করে নিয়ে আসার সময় পাথর বোঝাই নৌকাসহ ২ জনকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন দক্ষিণ কলাবাড়ি গ্রামের সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়া। সুরুজ আলী বারকি বাঁচাও কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। এ সময় সুমন নামে আরেকজন নৌকা থেকে পালিয়ে যায়। রবিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ধলাই নদীর ৫ পিলার এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
জানা যায়, সাদাপাথর চুরির বিরুদ্ধে পুলিশ সাম্প্রতিক সময়ে জিরো টলারেন্সে কাজ করছে। রোববার দিবাগত রাত ১২টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদের নেতৃত্বে সাদাপাথর চুরির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় এসআই মঞ্জুর আহমদ, এএসআই বিজয় পাশি সহ সঙ্গীয় ফোর্স ধলাই নদীর গুচ্ছগ্রাম এলাকার ৫ পিলার নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়াকে আটক করেন। এ সময় তাদের সাথে থাকা সুমন পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মঞ্জুর আহমদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সুরুজ আলী ও বাবুল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদেরকে নদীতে পাথর বুঝাই নৌকা সহ আটক করা হয়। নৌকা পুলিশ হেফাজতে ভোলাগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ঘাটে রাখা হয়েছে। এ সময় তাদের সাথে থাকা সুমন নামে অন্য একজন পালিয়ে যায়।
আজমিরীগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে প্রায় দুই লাখ মুল্যের ১২ কেজি গাঁজাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় গাঁজা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি টি ভিএস কোম্পানির ১১০ সিসির মোটরসাইকেল (হবিগঞ্জ -হ-১২-২১২২) জব্দ করা হয়। রবিবার (২৩ জুন) বিকাল ৫ টায় উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের সবুজগঞ্জ বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হল- নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার কুলিয়াহাটী মাজপাড়ার বাসিন্দা মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র আব্দুল্লা ওরফে আব্দাল (৩২) কুলিয়াহাটীর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মৃত তনু মিয়ার পুত্র আঙ্গুর মিয়া(২৯) এবং আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও ইউনিয়নের আনন্দপুরের বাসিন্দা মৃত আলী হায়দারের পুত্র মোটরসাইকেল চালক আমির উদ্দিন (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আটককৃতরা রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হবিগঞ্জ থেকে আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেওয়ে যাবার সময় উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের সবুজগঞ্জ বাজারে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাসহ একদল পুলিশ তাদের থামতে ইশারা করেন। কিন্তু তারা পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে। এ সময় তাদের সাথে থাকা দুইটি বড় কাপড় বহনের ব্যাগ থেকে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সবুজ বাজারে তাদের থামতে ইশারা করি। কিন্তু তারা পালানোর চেষ্টা করলে আমরা তাদের আটক করে তাদের কাছে থাকা কাপড় বহনের ব্যাগ থেকে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৩০টি মোবাইল ট্যাব ও ১ টি ৫৫ ইঞ্চি টিভি এবং পাইপসহ অন্যান্য মালামাল চুরির ঘটনায় একই বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী আবু হনিফ (৩৬) কে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার ২৩ জুন সন্ধ্যায় আবু হানিফকে নোয়াগড় (বড়হাটি) থেকে আটক করা হয়। আটক আবু হানিফ জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও বিদ্যালয় কতৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন (শুক্রবার) দিবাগত রাতে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৩০ টি মোবাইল ট্যাব ও ১টি ৫৫ ইঞ্চি টিভিসহ অন্যান্য মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। এর পরদিন শনিবার (২২ জুন) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেব দুলাল রায় বাদী হয়ে দপ্তরী আবু হনিফের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের নামে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে রবিবার সন্ধ্যায় আবু হানিফকে আটক করে পুলিশ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) দেব দুলাল রায় জানান, গত শুক্রবার রাত্রে বিদ্যালয় থেকে ৩০ টি মোবাইল ট্যাব, ১ টি ৫৫ ইঞ্চি টিভি ও অন্যান্য মালামাল চুরির ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.হাসিবুল ইসলাম জানান, চুরির ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে দপ্তরীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আর কয়েক জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে দপ্তরী আবু হানিফকে আটক করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশের অভিযানে কালাম আহমেদ (৩০) ও ধ্রব দেব (৩৫) নামে বিকাশ জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার রায়শ্রী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।
থানা সুত্রে জানা যায়, গত ২২ জুন সকালে মৌলভীবাজার শহরের দর্জির মহল এলাকার জনৈক তাহমিদুল ইসলামের মোবাইল ব্যাংকিং এর দোকান থেকে অজ্ঞাত ২/৩ জন ব্যক্তি নগদ এজেন্ট একাউন্টের পিন কোড ব্যবহার করে ১৫ হাজার টাকা ’সেন্ড মানি’ করে চলে যায়। এজেন্ট একাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের ঘটনায় সন্দেহ হলে দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে দোকান মালিক জালিয়াত চক্রের দুই জনকে শনাক্ত করে। পববর্তীতে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ সিসি ক্যামেরা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় ৩জনকে আসামি করে মৌলভীবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সারোআর আলম জানান, এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবত মৌলভীবাজারে এই জালিয়াতি করে আসছে। তারা মোবাইল রিচার্জ বা বিকাশে টাকা পাঠানোর অজুহাতে বিভিন্ন দোকানে যায় এবং সেখানে কৌশলে বিকাশ বা নগদের এজেন্ট নাম্বারের গোপন পিন কোড তারা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে এই পিন কোড ব্যবহার করে এজেন্ট নাম্বার থেকে তাদেরই চক্রের সদস্যের নাম্বারে সেন্ড মানি করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
মৌলভীবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল জানান, প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃত দুইজন মোবাইল ব্যাংকিং জালিয়াতির সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করেছে। তাদেরকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে, পলাতক অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।