কাজিরবাজার ডেস্ক :
হাইকোর্ট থেকে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতা ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন বলে ইসির দেওয়া সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। নির্বাচন না করতে অর্ন্তবর্তীকালীন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি আদালত। এর ফলে জামায়াত নেতাদের ভোটে বাধা কেটেছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিয়া আমীর। সঙ্গে ছিলেন মো. ইয়াদনান রফিক। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ইয়াসিন খান। জামায়াতের দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু।
এবারের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ২২ জন ও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিয়েছেন। এসব প্রার্থীর নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ চারজন হাইকোর্টে রিট করেন।
এর আগে এসব প্রার্থীর নির্বাচনে সুযোগ না দেওয়ার জন্য ইসিতে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেখানে কোনো প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ তিনদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে আবেদনটি নিষ্পত্তির আদেশ দেন। গত ২৩ ডিসেম্বর বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন জানায়, জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। এরপর গত বুধবার ইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হয়। একইসঙ্গে এসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আর্জি জানানো হয়।
রিট দায়েরের পর তানিয়া আমির জানান, জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। পরে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই রায়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১)(বি)(২) এবং ৯০সি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও সংবিধান পরিপন্থী। রায় এখনও বহাল।
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন নেই, সেহেতু ওই দলের কোনো নেতা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছেন না। অন্য দলের প্রতীকেও তাদের ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও জামায়াতের নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ইসি হাইকোর্টের রায় ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের বিভিন্ন বিধির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’