জামায়াতের ২২ প্রার্থীর বিষয় সিদ্ধান্ত আজ

46

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের অগ্রাধিকার তিন ইস্যুতে রবিবার বিকালে জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পন্ন করতে তড়িৎ এই সভা আহবান করা হয়েছে। ইস্যু তিনটি হচ্ছে, -ব্যালট মুদ্রণের অগ্রগতি, নির্বাচনের সামগ্রীক অগ্রগতি এবং জামায়াতের প্রার্থী বহাল থাকা না থাকা সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি সংগঠনটির রাজনৈতিক কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করে রায় রয়েছে আদালতের। কিন্তু একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলটির রাজনৈতিক মিত্র বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দলটির নেতাকর্মীরা। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ২২ জন এবং স্বতন্ত্র আরো ৩টিসহ মোট ২৫টিতে লড়ছেন নিষিদ্ধ দলটির নেতারা।
এদিকে, ভোটের আগের সকল কার্যক্রম তদারিক পাশাপাশি জামায়াত ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্যালট মুদ্রণ, নির্বাচনের সামগ্রীক কার্যক্রম ও জামায়ত ইস্যুতে আইনি দিকগুলো খতিয়ে দেখা হয়। রোববার কমিশন সভায় তাদের মতামত তুলে ধরবেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর নতুন করে জামায়াত প্রার্থীদের বিষয়ে রিট দায়ের করায় বিপাকে পড়ে যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আদালতের নির্দেশনা নিষ্পত্তি না হওয়ায় সংসদ নির্বাচনের অনেক কাজ আটকে রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০টির মত সংসদীয় আসনের ব্যালট মুদ্রণ বন্ধ রয়েছে। কারণ রবিবারের মধ্যে ব্যালট মুদ্রণ শেষ করে তা মাঠ পর্যায়ে পাঠানোর কথা রয়েছে; ওই ইস্যুতে তা আটকে রয়েছে।
এদিকে, এ নিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টেও দলটির সমর্থিত প্রার্থীতের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপূরী, মো. আলী হোসেন, মো. এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবির। জামায়াত নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে ওই রিট আবেদন দাখিল করেন। আবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করা হয়।
আবেদনে জামায়াত নেতাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অবৈধ ঘোষণার প্রশ্নে রুল জারির জন্য আদালতে প্রার্থনা জানানো হয়েছে। এই রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে ইসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা স্থগিতের আবেদন করা হয়েছে এই রিটে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিটটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছিল আদালত। রোববার ওই আদেশ নিষ্পত্তির শেষ দিন। এর আগে আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কি পারবে না সেটা দেখার দায়িত্ব ইসির।