সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে সিলেট ১৪তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শেষ হচ্ছে ২০ ডিসেম্বর। মাসব্যাপী আয়োজিত এ বাণিজ্য মেলার মেয়াদ শেষ হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলা করণের অনুমোদন লাভ করে সিলেট চেম্বার।
বিষয় বৈচিত্র্যের ভিন্নতায় এবারের বাণিজ্যমেলা দৃষ্টিনন্দন হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য ক্রেতা টানতে সমর্থ হয়েছে। ফলে মেলার মাঠে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। নান্দনিক ডেকোরেশন, প্রশস্থ মাঠ এবং বিনোদনের চমৎকার সব রাইডিং নিয়ে চলছে এবারের ১৪ তম সিলেট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে নগরীর শাহীঈদগাহস্থ সদর উপজেলা খেলার মাঠে সকাল ১০ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মেলা চলছে প্রতিদিন।
মেলার প্রবেশ পথে মূল ফটকে রয়েছে নীল-সাদার মিশেলে তৈরি তোরণ। সোনালী আভায় তাতে রাজপ্রাসাদের আবেশ। পুরো প্রবেশপথ গ্লাসের তৈরি। নিচে এ্যাকুরিয়ামে রাখা রঙিন মাছের বিচরণ।
ফটক পেরিয়ে মেলা চত্বরে ঢোকা মাত্রই আপনাকে স্বাগত জানাবে স্বচ্ছ পানির ড্যান্সিং ফোয়ারা। গানের তালে ফোয়ারা দেখতেই যেন যতো ভিড়। পুরো মেলা প্রাঙ্গণেই দর্শনার্থীদের আকর্ষণের জন্য রাখা হয়েছে নানান আয়োজন। বাদ পড়েনি শিশুরাও। তাদের বিনোদনের জন্য রাখা হয়েছে বেশ কিছু ইভেন্ট। মেলায় দেশি-বিদেশি ২২০টি প্যাভিলিয়নের পাশাপাশি এবারই প্রথম শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য ওয়াটার বল, জাম্পিং, ওয়াটার বুট, স্লিপার, ঝুলন্ত নৌকা, নাগরদোলা, ট্রেনজার্নি এবং কার ও মোটরসাইকেলের ডেঞ্জার গেম যুক্ত করা হয়েছে।
এবারের মেলায় বিনোদনের জন্য প্রধান আকর্ষণ শিশুদের ওয়াটার বল। ওয়াটার বলে শিশু-কিশোরদের ঢুকিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে পানির উপরে। মজার এ খেলাটি সিলেটবাসীর জন্য একেবারেই চমকে দেওয়ার মতো। রয়েছে জাদু প্রদর্শনী এবং সরঞ্জাম বিক্রয়।
তাছাড়া, মেলা চত্বরে রয়েছে একটি স্থায়ী মঞ্চ। যেখানে দর্শকদের বাড়তি বিনোদন প্রদানের জন্য কিছুদিন পর পর অনুষ্ঠিত হয় জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সিলেট ছাড়াও দেশের নামকরা গুনী শিল্পীদের আমন্ত্রণের মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখা হয়।
মেলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করা মনিপুরী তাঁত শিল্প ও জামদানি বেনারসি কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল গাফফার বলেন, সাধারণ মেলার সাথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার অনেক পার্থক্য রয়েছে। শুরু থেকেই এই বিষয়টি মাথায় রেখে একটি সত্যিকার আন্তর্জাতিক মানের বাণিজ্য মেলার আমেজ তৈরী করতেই সমৃদ্ধ করা হয়েছে মেলার আঙ্গিক। ফলে এবারের মেলা শুরু থেকেই দর্শকদের সুনাম কুঁড়াতে সমর্থ হয়েছে। নগরীর শিশু-কিশোরদের বিনোদনের বিষয়টি মাথায় রেখে শুরু থেকেই নতুন কিছু করার প্রচেষ্টা চালিয়েছি। বিগত দিন থেকে এবারই সর্ব্বোচ্চ বরাদ্ধ রেখে মেলার সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করেছি। তাছাড়া, স্টল বরাদ্ধের ক্ষেত্রেও নতুনত্বকে প্রাধান্য দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার প্রয়াস চালিয়েছি। তিনি বলেন, সবকিছু মিলিয়েই এবারের মেলায় উপচেপড়া দর্শনার্থীর পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতারাও গভির স্বস্থি প্রকাশ করেছে। (খবর সংবাদদাতার)